বাছাই কমিটি দুদক চেয়ারম্যান-কমিশনার নিয়োগে

দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনার নিয়োগে সুপারিশ দিতে বাছাই কমিটি গঠন করেছে সরকার। পাঁচ সদস্যের এই কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বাছাই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী, কমিশন তিনজন কমিশনারের সমন্বয়ে গঠিত হয়। তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান হন। কমিশনারদের মেয়াদ পাঁচ বছর।

বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের মেয়াদ আগামী ১৩ মার্চ শেষ হচ্ছে। একইসঙ্গে কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলামের মেয়াদও শেষ হচ্ছে।

বাছাই কমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনারের পদ শিগগিরই শূন্য হবে বিধায় তাদের স্থলে দুইজন কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪’-এর ৭ ধারা অনুযায়ী এই বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা (সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিবের আগের অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব, যদি তিনি দায়িত্ব পালনে অপারগ হন তাহলে বর্তমানে কর্মরত মন্ত্রিপরিষদ সচিব)।

বাছাই কমিটি কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ দিতে উপস্থিত সদস্যদের কমপক্ষে তিনজনের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কমিশনারের প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুইজন ব্যক্তির নামের তালিকা প্রণয়ন করবে। এরপর আইনের ধারা ৬-এর অধীনে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, কমপক্ষে চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে বাছাই কমিটির কোরাম হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই বাছাই কমিটির কার্য-সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে।