বান্দরবানের ৩ উপজেলার নির্বাচন স্থগিত: ইসি
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ৩টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে এই ঘোষণা দেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
জাহাংগীর আলম বলেন, বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান। সেকারণে এই ৩টি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, র্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব।
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনের পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ছিলো সভার মূল বিষয়।
এসময় ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের উপজেলা নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।
৪ এপ্রিল রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।
স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তাঁরা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।
এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল কেএনএফের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমসহ প্রায় অর্ধশতাধীক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে সংগঠনটির অনেক নারী সদস্যও আছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন