বান্ধবীদের অ্যাকাউন্টে পি কে হালদারের টাকা’

বিদেশে পলাতক রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর বান্ধবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেছেন।

খুরশীদ আলম খান সাংবাদিককে বলেন, ‘পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠানে অর্থ রেখে অনেকে হয়রানি ও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা আমার চেম্বারে এসে দেখা করে কথা বলেছেন। পি কে হালদারের অনেক বান্ধবী থাকা ও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার তথ্য মূলত ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।’

এর আগে আজ রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খুরশীদ আলম খান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পি কে হালদারের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা টাকার উৎস খুঁজব। টাকা খুঁজতে গিয়ে কান টানলে মাথা যদি চলে আসে, সেভাবে কোনো ব্যক্তি চলে এলে সে ক্ষেত্রেও তদন্ত হবে। পিকে হালদারের গার্লফ্রেন্ডের অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে এবং সেই টাকা পি কে হালদারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেই গেছে। সে টাকা কীভাবে লেনদেন হয়েছে, তা দেখার বিষয়।’

কতজনের অ্যাকাউন্টে গেছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে খুরশীদ আলম খান বলেন, ৭০–৮০টি অ্যাকাউন্টে গেছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।

এর আগে ১৮ নভেম্বর ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদনে ছাপা হয়। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়ে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ও গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ বিষয়ে লিখিতভাবে দুদক চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের জানাতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় ৯ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালতে ওঠে। সেদিন আদালত পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার তদন্ত ও তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠানোর অগ্রগতি জানতে নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতে ৩ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য আছে।

পি কে হালদারের বিষয়ে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত রুলের পর অনেক ভুক্তভোগী এসে দেখা করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পি কে হালদার অবিবাহিত। তাঁর অনেক বান্ধবী থাকার তথ্য ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ইন্টারপোলে পাঠানো হয়েছে। ধার্য তারিখ ৩ জানুয়ারি আদালতকে অগ্রগতি জানানো হবে।