বাপ মারা গেলেও ছুটি দিতে চায় না, ছুটি দিলেও বেতন কেটে নেয়

‘বাপ মারা গেলেও ছুটি দিতে চায় না, ছুটি দিলেও বেতন কেটে নেয় মালিকরা’ শেরপুরে বস্ত্র দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়নের অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘট ও বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শ্রমিকরা।

(৪ মার্চ) মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর জেলা বস্ত্র দোকান কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন শহর শাখার আয়োজনে শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং শহরের মুন্সিবাজার গোয়ালপট্টি বস্ত্র ব্যবসায়ী এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় তারা তাদের ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তারা জানায়, তাদের পরিবারের বাবা-মা মারা গেলেও কোন ছুটি দেয়া হয় না। পরিবারের কারো মৃত্যুজনিত কারণে বাড়িতে চলে গেলে সেদিনের বেতন কর্তন করা হয়। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি।

তাদের ৫ দাবিগুলো হলো, ঈদুল ফিতরে কর্মচারীদের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস প্রদান এবং উদুল আযহা তে কর্মচারীদের বেতনের ৫০% অর্থাৎ অর্ধেক বোনাস প্রদান, শ্রম আইন অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী প্রতিটা শ্রমিকের ৮ ঘন্টা ডিউটিন নিয়ম করতে হবে, বাৎসরিক সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী আমাদের উক্ত সমিতির সকল সদস্যদের ছুটি মঞ্জুর, সংগঠনের কার্ডধারী সদস্য বাতিত কোন দোকানে শ্রমিক ডিউটি করিতে পারিবে না মর্মে আদেশ এবং শ্রমিকদের মৃত্যুকালীন ভাতা প্রদান করতে হবে। উল্লিখিত দাবি সমূহ মানা না হলে তারা তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাবে না বলে ঘোষণা দেন।

ধর্মঘটের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সভাপতি রাজন চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন। এ সময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সমিতির সূত্রে জানা গেছে শহর শাখায় তাদের সদস্য সংখ্যা রয়েছে দুই শতাধিক।