‘বাপেরই জন্ম হলো না, সন্তানের জন্ম হবে কী করে?’ : রিজভী


জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রস্তাবের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাপেরই জন্ম হলো না, সন্তানের জন্ম হবে কী করে?’
শুক্রবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারে ভুবনমোহন পার্কে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আয়োজনে চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে রাজশাহীতে আহত ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহিদ পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনগুলো আইনিকরণ করতে গেলে তো নির্বাচনী সরকার দরকার। নির্বাচিত সরকার না হলে কী করে এটা সম্ভব? সম্ভব নয়। এ জন্য আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দরকার। তার পরে না হয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন। কারণ বাপেরই জন্ম হলো না, সন্তানের জন্ম হবে কী করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের চূড়ান্ত গণতন্ত্র এখনও ফিরে আসেনি। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে কোনো মানুষের মুক্তি মিলবে না। আজকে সংস্কারের কথা যারা বলছেন, এই জিনিসটি সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগে? পুলিশ আচরণ করবে আইন অনুযায়ী। পুলিশ কোনো ক্ষমতাশালী লোকের কথা শুনবে না। গুম, হত্যা, বেআইনি কাজ হোক আইন অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করবে।
তিনি বলেন, সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগে? আর বিভিন্ন কমিশন যে করা হয়েছে, সেই কমিশন রিপোর্ট দিয়েছে। এটা মার্চ মাস। নির্বাচনের জন্য গড়িমসি কেনো? আবার শুনি কেউ কেউ বলছেন- এটাও পিছিয়ে দিতে হবে। এই সময়ে নির্বাচন করা কঠিন। নির্বাচন তো করবে নির্বাচন কমিশন। তাকে সহায়তা দেবে সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকারের ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ বলছেন- ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা কঠিন। কেনো কঠিন হবে? ইতোমধ্যে তো প্রায় ছয় থেকে সাত মাস চলে গেল। এখনও ৯-১০ মাসের মতো বাকি আছে। নির্বাচন করতে এতো সময় লাগবে কেন?
তিনি বলেন, এই নির্বাচন তো শেখ হাসিনা ১৫ বছর আটকে দিয়েছিলেন। নির্বাচনী ব্যবস্থা, নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সবগুলো পা দিয়ে দুমড়ে-মুচড়ে শেষ করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমাদের সেখান থেকে ফিরে আসতে হলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সজীব করতে হবে, প্রাণবন্ত করতে হবে। এগুলোর জন্য এতো গড়িমসি কেনো? নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে, ডিসেম্বর কেনো জুনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব।
রিজভী বলেন, এ দেশের জনগণ দেড় যুগ ধরে নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। আর এটা নিয়ে গড়িমসি করা হলে জনগণের মনে তো সন্দেহ জাগবে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি। কোনো এই গড়িমসি করা হচ্ছে। আজকে কেউ কেউ বলছে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আরেকটা হচ্ছে গণপরিষদ নির্বাচন একসঙ্গে করতে হবে। এগুলো তো আমরা বুঝতে পারছি। গণপরিষদ হয় যখন একটা দেশ স্বাধীন হয়। যেখানে সংবিধান থাকে না, কোনো ধরনের আইনকানুনের বিষয় থাকে না। তখন গণপরিষদ হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন