বাপ্পারাজের মধ্যস্থতায় চলচ্চিত্র পরিবার ও শাকিব দ্বন্দ্বের অবসান
 
            
                     
                        
       		অবশেষে অবসান হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে শাকিব খানের দ্বন্দ্বের। শাকিব তার ভুল বুঝতে পেরে কিংবদন্তি অভিনেতা ফারুকের উত্তরাস্থ বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সেই প্রেক্ষিতে তার ওপর আরোপ করা সকল বয়কট আদেশ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলচ্চিত্র পরিবার। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চাই, এটা আমরা সবসময়ই বলে এসেছি। আজ চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক ফারুক সাহেবের বাসায় এসেছিলেন শাকিব খান। সেখানে ঘরোয়া পরিবেশে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যস্থতায় ছিলেন অভিনেতা বাপ্পারাজ ভাই। তিনি অনেকদিন ধরেই এই দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে শাকিব তার ভুল বুঝতে পারার বিষয়টি স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই প্রেক্ষিতে আমরা নিজেদের ভেতরের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে চাইছি।’
তিনি আরও জানান, বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় এফডিসিতে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর আগে চলচ্চিত্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত সব কয়টি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করা হবে।
জায়েদ বলেন, বাপ্পারাজের মধ্যস্থতায় গতকালকের বৈঠকে চিত্রনায়ক ফারুকের বাসায় চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহ্বায়ক চিত্রনায়ক ফারুক, প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেন, চিত্রনায়ক শাকিব খান, বাপ্পারাজ, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, নৃত্য পরিচালক সমিতির সভাপতি মাসুম বাবুল, প্রযোজক নেতা আরশাদ আদনান, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খান প্রমুখ।
এই দ্বন্দ্ব অবসানের খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার তৈরি করেছে চলচ্চিত্রাঙ্গনে। তবে অধিকাংশই সবকিছু মিটিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাবে ঢাকাই ছবি সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৩ জুন এফডিসির সমস্ত সংগঠন থেকে শাকিব খান ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান আব্দুল আজিজকে অবাঞ্ছিত করে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করে চলচ্চিত্র পরিবার।
যৌথ প্রযোজনার নামে দেশের প্রচলিত আইন ভাঙার কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে শাকিব খানের সঙ্গে চলচ্চিত্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ১৮ সংগঠনের সকল সদস্যকে কাজ না করার উপরও নির্দেশ দেয়া হয়। এ নিয়ে নানারকম প্রতিবন্ধকতায় দিন পার করছিল ঢাকার চলচ্চিত্র শিল্প।
 
 
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন





 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	 
	