বাস চাপায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিহত; চালকের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
সম্প্রতি পিরোজপুর থেকে গোপালগঞ্জ আসার পথে পথিমধ্যে ইমাদ পরিবহনের ধাক্কায় নিহত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মশিউর রহমান রাজিব। শিক্ষকের মৃত্যুর তিন দিন পর শিক্ষার্থীরা শোক কাটিয়ে ঘাতক চালকের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।
১৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরবর্তী ঘোনাপাড়া বিশ্বরোডে সকাল ১১ টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন শুরু করে। মানববন্ধনে তাদের একটাই দাবি ঘাতক চালকের দ্রুত গ্রেফতার।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছি। আমরা চায় যেন শান্তিপূর্ণভাবে প্রিয় শিক্ষকের হত্যার বিচার হোক। খুনি চালককে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আমরা নিরব আছি, এটা কেউ যেন আমাদের দুর্বলতা না ভাবে।
এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তন্ময় বসু বলেন, কথা বলার কোনো ভাষা নেই। কি বলবো জানি না। আমাদের প্রিয় শিক্ষককে যে ইমাদ পরিবহনের নিকৃষ্ট চালক হত্যা করেছে, তার বিচার চায়। আমাদের একটাই দাবি খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। তিনি আরও বলেন, ইমাদ পরিবহন স্বল্প মূল্যে চালক নিয়োগ দেয়। এবং এই চালকদের হাতে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। যার সর্বশেষ শিকার আমাদের শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিব বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। এই অচলায়তনের অবসান চায়। আমাদের সহকর্মীর হত্যার বিচার না হলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অবিচার করা হবে। তিনি দাবি জানান, সড়কের সব ধরনের দুর্বৃত্তদের বিচারের আওতায় আনা হোক। সড়ক নিয়ম-শৃঙ্খলা এবং আইনের মধ্যে চলে আসুক।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কাজী মশিউর রহমান রাজিব নিজ বাড়ি থেকে ইজিবাইকে কর্মস্থল বশেমুরবিপ্রবি’র উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে নজিরপুর নামক স্থানে ইমাদ পরিবহন ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। পরে তাকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এসময় তার সাথে থাকা স্ত্রী ও পুত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পুত্রের একটি পা ভেঙে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন