বিএনপির নোমানের বিজয় র্যালিতে হামলা
চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানার নয়াবাজার এলাকায় চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুড়িং) আসনের বিএনপি প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিজয় দিবসের র্যালিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপি ও ছাত্রদলের আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। রোববার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে নগরের হালিশহর থানার নয়াবাজার এলাকায় র্যালি বের করেন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। র্যালির নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুড়িং) আসনের বিএনপি প্রার্থী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। মিছিলটি নয়াবাজার মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল র্যালির সামনে চলে আসে। এ সময় উভয় পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমানকে সরিয়ে নেয়। পরে প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে উভয় পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজয় র্যালির মাইকিংয়ে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এসে দু’দলের মাঝখানে অবস্থান নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে এ ঘটনার পর নিজ বাসায় তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান দাবি করেন, ‘আজকের হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি। প্রায় সময় মিছিল মিটিং এ প্রতিপক্ষ হামলা করেছে কিন্তু কখনো আমার উপরে হামলার সাহস দেখায়নি। এবার তারা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে আমার উপরে হামলা করেছে এবং এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে সরিয়ে নেয়ার কারণে আমি প্রাণে বেঁচে যাই।’
হামলায় পাঁচ নেতাকর্মী আহত এবং পরে পুলিশ আট নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলেও অভিযোগ করেন নোমান।
হামলার জন্য একই আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আফছারুল আমিনকে দায়ী করে নোমান বলেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী আবছারুল আমিনের সমর্থক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন দেবনাথ ও এরশাদুল আমীনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এ কর্মসূচির ব্যাপারে ৪ দিন আগেই সিএমপির বিশেষ শাখায় (সিটিএসবি) লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল এবং আজ কর্মসূচিতে যাওয়ার আগেও ফোনে তাদের অভিহিত করার পরও পুলিশ নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘হামলার সময় পুলিশ দূরে অবস্থান করলেও সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের ব্যবস্থায় পদক্ষেপ নেয়নি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার মতো কোনো পরিবেশ আমি দেখছি না। তবে হামলা মামলার পরও নির্বাচন থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না। এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকলে জনগণ নতুন চিন্তাভাবনা করবে। সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে প্রতিরোধে এগিয়ে আসবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম ওবায়দুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। র্যালিতে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। নয়াবাজার মোড় দিয়ে বিএনপির র্যালিটি অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগের মিছিলের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে গিয়েছিল। এ সময় পুলিশ দুই দলকেই দু’দিকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন