বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশী জেলেরা ফিরে পেল ০৩ টি নৌকা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী সীমান্তে টানা তিন দফা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের জেলেদের আটককৃত তিনটি নৌকা ফেরত দিয়েছে। (২০ এপ্রিল) দুপুরে কৈখালী বিওপি বিজিবি ক্যাম্পে এসব নৌকা জেলেদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল টেংরাখালী গ্রামের মো. রমজান আলী, মো. শাহাজান গাজী ও মো. আনোয়ার হোসেনসহ মোট নয়জন জেলে কৈখালী ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাশ পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। ১৫ এপ্রিল রাতে কালিন্দী নদীর বকচরা এলাকায় মাছ ধরার সময় অসাবধানতাবশত তারা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েন।

এ সময় ভারতের বিএসএফ টহলে এসে তাদের তিনটি নৌকা জব্দ করে নিয়ে যায়। তবে বিএসএফের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা সুন্দরবনের গভীরে পালিয়ে আশ্রয় নেন।

ঘটনার পরপরই জেলেরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও রমজাননগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ মো. আব্দুল হামিদ লাল্টুকে বিষয়টি জানান। তিনি দ্রুত নৌকাযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে জেলেদের উদ্ধার করেন এবং বিষয়টি কৈখালী বিওপি বিজিবিকে অবহিত করেন। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হলে তিন দিনব্যাপী তিন দফা পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯ এপ্রিল বিএসএফ জব্দ করা তিনটি নৌকা কৈখালী বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন ২০ এপ্রিল বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলো জেলেদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।

নৌকা হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন রমজাননগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ মো. আব্দুল হামিদ লাল্টু, ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সালাম, কৈখালী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মো. আবু বাক্কার এবং কৈখালী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা মো. সুলতান।

এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ জেলেরা অনেক সময় নদীর সীমানা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ আরও স্পষ্ট করার আহ্বান জানান তারা।