বিদায়ী ইসিকে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দায়ে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে : আ স ম রব
নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে খাদের কিনারে রেখে যাওয়া ও সংবিধানের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস বিনষ্ট করার দায়ে বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে ‘বিচারের’ সম্মুখীন করার দাবি জানিয়ে জেএসডি সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।
সাংবিধানিক দায়িত্ব উপেক্ষা ও লংঘনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন রাতের আঁধারে ভোট সম্পন্ন করে সরকারের হাতে জনগণের ক্ষমতা অবৈধভাবে তুলে দেয়ার অপরাধে অপরাধী হয়েও নিরাপদে প্রস্থান করা গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনকে বিচারের সম্মুখীন না করলে রাষ্ট্রীয় যে কোন প্রতিষ্ঠান সংবিধান লঙ্ঘনে উৎসাহিত হবে এবং এই প্রবণতা ভবিষ্যতেও সর্বগ্রাসী শাসনের দিকে নিয়ে যাবে।
সরকার ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতা ধরে রাখার স্বীয় উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করায় তারা সরকারের অনুগ্রহভাজন হয়ে জনগণকে প্রতারিত করেছে। হুদা কমিশনের ‘জন্ম এবং অপকর্ম’ সবই সরকারের মদতে হয়েছে।
অনিয়মের গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত এম নূরুল হুদা কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের নামে দিনের ভোট রাতে করার মত গর্হিত কলঙ্কের স্মৃতি গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে অবিরাম কষ্ট দিতে থাকবে। এরপর একের পর এক নির্বাচন হয়েছে আর ব্যর্থতার ঝুলি পূর্ণ করেছে এই কমিশন। তারপরও আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে সিইসিসহ অন্য তিন কমিশনার নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বরাবরই। ব্যতিক্রম ছিলেন একমাত্র কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি সময়ে সময়ে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেছেন।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অস্বীকার এবং দুর্নীতি ও অসদাচরণ অভিযুক্তদের আনুগত্যের প্রতিদানে বিচারের আওতায় না আনলে ভবিষ্যতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা দুরূহ হয়ে পড়বে। গণতন্ত্রের সাথে জড়িত থাকা বিকৃতিসমূহ এখনই সংশোধন করা প্রয়োজন নতুবা জাতিকে অতি উচ্চ মূল্য দিতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন