বিদেশগামীদের ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স এখন অনলাইনে


জনশক্তি রফতানিতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিদেশগামী কর্মীদের ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স এবার অনলাইনে দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো কর্মীদের কিভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র অনলাইনে দেয়া যায় সেই কার্যক্রম শুরু করেছে।
পর্যায়ক্রমে মালয়েশিয়াগামীদের বহির্গমন ছাড়পত্রও অনলাইন পদ্ধতিতে দেয়া শুরু হবে। এ দিকে মালয়েশিয়ায় ‘জি টু জি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী রফতানির পর এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছে। আরো অর্ধলক্ষাধিক কর্মী দেশটিতে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মালদ্বীপ, ব্রুনাই, মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশী দক্ষ, আধা দক্ষ ও শ্রমিক শ্রেণীর নারী-পুরুষ কর্মী যাচ্ছে। তাদের বহির্গমন ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে।
অভিযোগ রয়েছে, কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র অনলাইনে না দেয়ায় প্রায়ই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে কর্মীদের বৈধতা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।
এ নিয়ে বিএমইটি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুধাবন করে বহির্গমন ছাড়পত্র কিভাবে অনলাইনে সহজে দেয়া যায়, তা নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির নির্দেশে কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেন, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন বলেন, ‘আজকে একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। বহির্গমন ক্লিয়ারেন্সগুলো অনলাইন সিস্টেম হয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার অনলাইন ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্সটা অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিদেশগামীদের বহির্গমন ছাড়পত্র অনলাইনে দেয়া হলে জনশক্তি রফতানিতে গতির পাশাপাশি শৃঙ্খলাও ফিরে আসবে।
বায়রা মহাসচিব আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় জি টু জি প্লাস পদ্ধতিতে শ্রমিক রফতানি শুরুর পর এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫৭ হাজার কর্মীর নামে চাহিদাপত্র (ডিমান্ড) এসেছে। এরমধ্যে ৯০ হাজারেরও বেশি কর্মী বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে অলমোস্ট চলে গেছে।
বাকি ৬৭ হাজার কর্মী প্রসেসের মধ্যে আছে। এর মধ্যে কারো ভিসা হয়েছে, কারো এসপিপি আসছে, কারো কলিং ভিসা আসছে, কারো এলোকেশন হয়েছে।
আমরা আশা করছি, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে আরো ৫০ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র মালয়েশিয়া থেকে চলে আসবে।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ইস্কাটনে বায়রার নিজস্ব কার্যালয়ে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর উদ্বোধন ও চালু হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো তাদের কর্মীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন