বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সীমা লঙ্ঘন না করার আহ্বান

বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, যে কোনো সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এ সময় একটু ধৈর্য ধরা প্রয়োজন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।

বুধবার (৮ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিয়োজিত বিদেশি কূটনীতিকদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে প্রতিনিয়ত মন্তব্যের বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেস ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে সৌদি আরব সফর শেষে প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে দেশে ফেরেন। বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বিষয়টা আমরা পছন্দ করি না (কূটনীতিকদের তৎপরতা)। কিন্তু তারপরও আমরা তাদের একটা কালচারাল স্পেস দিয়েছি। এ কালচারটা বাংলাদেশে আছে অনেকদিন থেকে। কিন্তু আমরা চাই, সামনের দিনে তারা এ কালচার থেকে সরে আসবে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশই নেবে।’

কূটনীতিকদের জন্য নির্ধারিত ভিয়েনা কনভেনশনের বাইরে গিয়ে কোনো রাষ্ট্রদূত যেন সীমালঙ্ঘন না করেন, সে আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, বিদেশি কূটনীতিকেরা নির্বাচনের আগে আগের তুলনায় বেশি সতর্ক থাকবেন। তাঁরা ছয় মাস আগে যা বলেছেন, এখন একই কথা বলতে গেলে তার প্রভাব অনেক বেশি হতে পারে। কারণ এখন সবাই নির্বাচনমুখী হয়েছেন। যারা আন্দোলনে আছেন, তাঁরাও নিজেদের ভাষায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছেন।

এমন অবস্থায় কোনো মন্তব্যের জন্য কোনো রাষ্ট্রদূতকে তলবের প্রয়োজন হবে না, এমন আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোনো রাষ্ট্রদূতকে তলবের প্রয়োজন যদি দেখা দেয়, তবে তা দুঃখজনক ব্যাপার হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো রাষ্ট্রদূত যতই সীমালঙ্ঘন করুন না কেন, রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন। কিন্তু সবারই আচরণ, কথাবার্তা, অভিব্যক্তি, এমনকি লেখালেখিও সহনীয় হওয়ার প্রয়োজন আছে।’

এর আগে কিছু রাষ্ট্রদূতকে একা ডেকে তাঁদের কার্যপরিধির বিষয়গুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে সরকারের আইন প্রয়োগেরও সুযোগ আছে। অন্য উপায় না থাকলে, যেটি সঠিক সেটি সরকারকে করতে হবে।’