বিনা পরীক্ষায় পাশে কোনো মর্যাদা নেই: নজরুল ইসলাম খান
অটোপাশ বা বিনা পরীক্ষায় পাশে কোনো মর্যাদা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলেও যারা বিনা পরীক্ষায় পাশ করেছিল তাদের কোনো সামাজিক মর্যাদা ছিলো না।
রবিবার এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট: শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রভাব’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটি (বিএসএসসি)।
সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সেলিম ভুইয়ার পরিচালনায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এই গোলটেবিল আলোচনা হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাবি সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সোহেল রানা, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. রইছ উদ্দিন।
এসময় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা মো. আবুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, তরিকুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন শাওনসহ কয়েক শত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, করোনাকালে করুণা পাস। কেউ বলে অটোপাশ। এটা জাতির জন্য, শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা অনুকূল বা প্রতিকূল? আজকে সেই প্রশ্ন উঠেছে। পরীক্ষা নেয়া হবে না কেনো? আসলে সরকার যে যুক্তি দেখিয়েছে সেটা সরকারের মুখে শোভা পায় না। তারা অফিস, কলকারখানা, গার্মেন্টস, গণপরিবহন চালু করেছে।
তিনি বলেন, সবকিছু চালু করেছেন। কোনো কিছু বাদ নেই। মাস্ক পরতে আইন করা হয়েছে। কিন্তু কেবল পরীক্ষা হবে না? অথচ আমাদের অনেক স্কুল-কলেজ রয়েছে। কমিউনিটি সেন্টার আছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুরো না হলেও আংশিক পরীক্ষা নেয়া যেতো। কিন্তু সরকার বললো সবাই পাশ। এই ঘোষণা আগে দেয়া হলে তো যেসব অভিভাবক টাকা দিয়েছেন সেগুলো লাগতোনা। এসব ফেরত দেয়া হবে কি না তা অনিশ্চিত।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, অটোপাশ বা বিনা পরীক্ষায় পাশে কোনো মর্যাদা নেই। পাকিস্তান আমলে যারা পাশ করেছিল তাদেরও কোনো মর্যাদা ছিলো না। সেসময় অনেকেই অটোপাশ করে বিএতে ভর্তি হয়েছিল। তাদের বিয়ে-শাদী এবং সামাজিক কোনো মর্যাদা ছিলো না। এবারো তাই হবে। অনার্স আছে, মাস্টার্স আছে। কে কতটা মেধাবী বা দক্ষ তা বোঝা গেলো না। এক্ষেত্রে শিক্ষাবিদদের মত নেয়া হলে ভালো মত বেরিয়ে আসতো। কিন্তু তারা এর প্রয়োজন মনে করে নাই। অর্থ উপার্জন করায় যত গুরুত্ব, আগামী প্রজন্মকে ভালোভাবে প্রস্তুত করায় সরকার তত গুরত্ব ভাবছে না।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস হচ্ছে, পরীক্ষা হচ্ছে। অধিকাংশ স্কুলেরও ক্লাস চলছে। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হলো না কেনো? সবকিছু বন্ধ থাকলে তো সরাসরি পরীক্ষা নেয়া যেতো। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষা নেয়া যেতো। বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। পরীক্ষা নেয়াটা খুবই জরুরি ছিল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন