বিনা পয়সায় ড্যান্স দেখতে পারবেন মেসি-সুয়ারেজরা!

মাঠ আর অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়ে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়বেন, বিষণ্ন মন যখন একটু বিনোদন খুঁজে ফিরবে, মেসি-সুয়ারেজ-পিকেরা তা পেয়েও যাবেন। সে জন্য তাদের আর কষ্ট করে চড়া মূল্যের টিকিট কেটে বাণিজ্যিক কনসার্ট বা ড্যান্স পার্টিতে যেতে হবে না। নিজেদের ক্লাবে বসে বিনা পয়সাতেই দূর করতে পারবেন মনের বিষণ্নতা। সতীর্থদের জন্য বাড়তি বিনোদনের আস্ত একটা প্যাকেজ হয়েই যে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছেন ইয়ারি মিনা। শুধু ভালো ফুটবল খেলাই নয়, খুব ভালো ড্যান্সও পারেন বার্সেলোনার এই নতুন সদস্য।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস ছেড়ে গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে বার্সেলোনার হয়ে গেছেন কলম্বিয়ান এই ডিফেন্ডার। চুক্তির পর দিনই স্পেনের গণমাধ্যমের সংবাদ শিরোনাম হন নিজের বিশালাকৃতির দেহের জন্য। ২৩ বছর বয়সী কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার ঢুকে পড়েছেন স্প্যানিশ লা লিগায় খেলা বর্তমান খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘদেহীদের তালিকায়।
৬ ফুট ৫ ইঞ্চি উচ্চতার কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার সংবাদ মাধ্যমের বিশেষ দৃষ্টি কাড়লেন গতকাল শনিবারও। এ দিনই ন্যু-ক্যাম্পে দর্শক ও গণমাধ্যমের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় তাকে। স্বপ্নের ক্লাব বার্সেলোনায় নিজের প্রথম পরিচয়পর্বের দিনেই ইয়ারি মিনা দর্শকদের মন জয় করলেন বিশেষ দুটি কর্মের মাধ্যমে।
তার একটি হলো, ন্যু-ক্যাম্পে দর্শকদের সামনে পরিচয়পর্বে নাচলেন ইয়ারি মিনা। সখের ড্যান্সার নয়, ইয়ারি মিনা বুঝিয়ে দিলেন, চাইলে তিনি ফুটবল ছেড়ে পেশাদার ড্যান্সারও হতে পারবেন। তার লাতিন ঢঙের ড্যান্স দেখে মুগ্ধ পরিচয়পর্ব দেখতে আসা স্বল্প সংখ্যক দর্শক। মুগ্ধ বার্সেলোনার খেলোয়াড়-কোচ এবং উপস্থিত সাংবাদিকরাও!
পরিচয়পর্ব শেষে তো সাংবাদিকরা সরাসরি বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের কাছেই ইয়ারি মিনার ড্যান্সের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। সাংবাদিকদের হতাশ করেন বার্সা কোচ। নতুন শিষ্যের ড্যান্স যে তিনিও বেশ উপভোগ করেছেন, সেটা বুঝিয়ে দিয়ে ভালভার্দে বলেন, ‘ফুটবলে এমন ছোটখাট বিনোদন একেবারে খারাপ না!’
কলম্বিয়ান তরুণ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছেন আরও একটি কাজ করেও। বার্সেলোনার ১১৮ বছরের ক্লাব ইতিহাসে কম খেলোয়াড়ের পরিচয়পর্ব হয়নি। তবে পরিচয়পর্বে সব ফুটবলাররাই এসেছেন পুরোদস্তুর ফুটবলার সেজে। বার্সার জার্সি-শর্টস আর বুট পরে। ইয়ারি মিনাও নতুন ক্লাবের জার্সি-শর্টস ্রিআর বুট পরেই পরিচয়পর্বে আসেন। তবে মাঠে ঢুক্বেেই পায়ের বুটজোড়া খুলে ফেললেন। খালি পায়ে পরিচত হয়ে গড়লেন ব্যতিক্রমী নজির।
কেন বুট খুলে ফেলেন, সেই কারণ এখনো উদঘাটন করতে পারেননি সংবাদকর্মীরা। হয়তো শিগগিরই তা পারবেন। তবে ফুটবল আর ড্যান্স প্রতিভার পাশাপাশি তিনি যে কথা-বার্তাতেও চটপটে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ড্যান্স নয়, ফুটবলের পেছনে শ্রম ঢেলেই মেসি-সুয়ারেজ-কুতিনহো-পিকেদের মতো বিশ্বসেরা সতীর্থদের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে চান তিনি। বললেন, ‘পা মাটিতেই থাকবে আমার। তবে দৃষ্টি থাকবে আকাশের দিকে।’
নিজের অন্য যোগ্যতা দিয়ে সবাইকে বিশেষ মুগ্ধ করা ইয়ারি মিনা নিজেও একটা বিষয়ে ভীষণ মুগ্ধ। তাকে মুগ্ধ করেছেন মেসি ও সুয়ারেজ। কিভাবে? শুনুন ইয়ারি মিনার মুখেই, ‘আমি বেঞ্চে বসেছিলাম। মেসি ও সুয়ারেজ আমাকে যেভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সত্যিই আমি মুগ্ধ, অভিভূত।’

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন