বিমানবন্দরের প্রধান সড়কে তল্লাশি চৌকি ‘গলার কাঁটা’
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2017/06/Biman-tallasi20170602173713.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
নিরাপত্তার অজুহাতে বিমানবন্দরে প্রবেশপথের সড়কে স্থাপিত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) চেকপোস্ট এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশ থেকে আগত ও বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা স্বজনদের ভিড়ে প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী প্রধান সড়কের উপর দাঁড়িয়ে থাকায় সেখানে ২৪ ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে।
শুক্রবার সকালে চেকপোস্টসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান করে এমনটাই দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের গোলচত্বর এলাকায় হাজার হাজার দর্শনার্থী বিদেশ থেকে আগত স্বজনদের অপেক্ষায় প্রধান সড়কের উপর দাঁড়িয়ে আছেন।
অনেকেই আবার বিদেশগামী স্বজনদের বিদায় জানাতে এসেছেন বিমানবন্দরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে। দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, গত মার্চ থেকে বিমানবন্দর সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকা গরুর হাটের মতো অবস্থা। দিনরাত হাজার হাজার মানুষ তীর্থের কাকের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন বিমানবন্দরমুখী হয়ে। তাদের সরানোও যায় না। আবার দাঁড়িয়ে থাকলেও সমস্যা।
গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের বাইরে পুলিশের একটি তল্লাশি চৌকির কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হয়। এরপর থেকে বিমানবন্দরের ভেতরে যাত্রীর সঙ্গে একজনের বেশি স্বজনের যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এ বিষয়ে মনির হোসেন বলেন, একটি সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে তিনটি সমস্যার সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধান সড়কের মুখে চেকপোস্ট বসানোর কারণে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, অপরিষ্কার হচ্ছে গোটা গোলচত্বর এলাকা, এছাড়া বিদেশিদের কাছেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে বিমানবন্দরে কর্মরত এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুর রহমান বলেন, ‘এয়ারপোর্টে আর্মড পুলিশের চেকপোস্ট বসানোর কোনো ক্ষমতা নেই। এসব সিদ্ধান্ত সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের। পুলিশ কেবল এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।’
বিষয়টিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য কোনো বিমানবন্দরে এতো লোকের সমাগম ঘটে না। আর যেখানে বেশি মানুষের সমাগম হয় সেখানেই অপরাধের আশঙ্কা থাকে।
এ বিষয়ে জানতে বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাশিদা বেগমকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে প্রতিবেদক পরিচয়ে একটি এসএমএস পাঠালেও তার কোনো সাড়া দেননি তিনি।প্রতিবেদন জাগো নিউজের সৌজন্যে প্রকাশিত।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন