‘বিরিয়ানি খেয়ে মানুষ পোড়ানোর নির্দেশ দিতেন খালেদা’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে প্রায় তিন মাস অফিসে থেকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বিরিয়ানি খেয়েছেন আর মানুষকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিয়েছেন।

রোববার বিকালে খুলনার সার্কিট হাউস ময়দানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেত্রী কী করলেন? প্রায় ৫০০ মানুষকে তারা পুড়িয়ে মেরেছেন আর সাড়ে ৩ হাজার মানুষ তাদের আগুন সন্ত্রাসে আহত হয়েছে। ওই আহতরা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের জীবন-জীবিকার কোন ব্যাবস্থ নেই।

বিএনপি-জামায়াত জোট শুধু ধ্বংস করতে জানে, সৃষ্টি করতে জানে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালে আন্দোলনের নামে তারা তীব্র সহিংসতা করেছিল।

আবারো দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতে হবে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেছেন, কোর্ট তাকে শাস্তি দিয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের কিছুই করার নেই।দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে।’

খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ‘গ্যাস’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনাদের জন্য সুখবর দিতে চাই, ভোলায় অনেক গ্যাস পাওয়া গেছে। আপনাদের জানাতে চাই: এই গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে বরিশাল এবং খুলনায় পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।

এর পাশাপশি প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়কাজের চিত্র খুলনাবাসীর সামনে তুলে ধরেন।

ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী খুলনাসাসীর কাছে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে ওয়াদা আদায় করেন। এ সময় উপস্থিত সকলে দু’হাত তুলে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হন।

এর আগে সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীতে পৃথক ৩টি নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কায় ভোট দিতে আহ্বান জানিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদেরকে হাত উঠিয়ে অঙ্গীকারও করিয়ে ছিলেন তিনি।

শনিবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৫৮তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে তিনি খুলনার মোট ৯৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

এরমধ্যে ৪৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৫২টি নতুন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে যেসব দাবি তুলে ধরা হবে তার মধ্যে রয়েছে খুলনা অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ, খুলনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা ক্যাডেট কলেজ, মেরিন একাডেমি, পূর্ণাঙ্গ আইটি ভিলেজ, শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে রিসার্চ সেন্টার, খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও খুলনা প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া হাউজ স্থাপন।