বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ৪৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ
৫,৬, ৩, ৮, ৩, ২, ৪, ০, ৩, ৫, ১- নাহ! এ গুলো কোনো মোবাইল নাম্বারের ডিজিট নয়। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রতিটি ব্যাটসম্যানের করা রানের সংখ্যা। সঙ্গে যোগ করতে হবে অতিরিক্ত ৬ রান। তাহলে সর্বমোট রানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬।
হ্যাঁ, ১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৬ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের বোলারদের সামনে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানরা। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে।
বলাই বাহুল্য যে, বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৮ রান এসেছে ফারহানা হকের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ রান করেন আয়েশা রহমান। অতিরিক্ত থেকেও এলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ৪৬ রান করতে অবশ্য বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটসম্যানরা খেলেছে ১৪.৪ ওভার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলের পেসার দিন্দ্রা দোতিনের দুর্দান্ত গতির বলের সামনেই অবশ্য একের পর এক পরাস্ত হতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের ব্যাটসম্যানদের। ৩.৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি।
এমনিতেই টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নারী ক্রিকেটাররা। তারওপর গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে একের পর এক গতিময় বোলিংয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশের মেয়েরা। যেন পুরোপুরি অনভ্যস্ত একটি ক্রিকেট দল। ব্যাট তোলারই সুযোগ পাচ্ছে না, তার আগেই বোল্ড। বিশেষ করে দিন্দ্রা দোতিনের বলে।
উইকেটটার গতি-প্রকৃতি মোটেও ভালো ছিল না। শুরুতে পেস বান্ধবই মনে হয়নি। যে কারণে দিন্দ্রা দোতিনকে বোলিংয়ে আনা হয় চতুর্থ বোলার হিসেবে, ৯ম ওভারে। কিন্তু উইকেট কেমন সেটা দেখার বিষয় ছিল না। তার সামনে যেন শুধুই স্ট্যাম্প। ভাঙতে পারলেই বড় ধরনের কোনো পুরস্কারের হাতছানি। সেভাবেই বল করে গেছেন।
শুরুতেই ফারজানা হক রিটার্ন ক্যাচ দিয়েছিলেন দোতিনকে। এরপর নিগার সুলতানা, রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল এবং সালমা খাতুনকে বোল্ড করেন তিনি। দোতিন ছাড়াও সাকিরা সেলমান নেন ২ উইকেট, স্টেফানি টেলর এবং আফি ফ্লেচার নেন ১টি করে উইকেট।
নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সেরা বোলিং করলেন দিন্দ্রা দোতিন। বোতসোয়ানা বোতসোগো এমপেডি লেসোথোর বিপক্ষে ২.৩ ওভার বল করে ৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের অ্যামি সেটারর্থওয়াইট ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এরপরই রয়েছেন দিন্দ্রা দোতিন। তবে সবচেয়ে কম রান দিয়ে ৫ কিংবা তার বেশি উইকেট নেয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি রয়েছেন শীর্ষে। মাত্র ১.৬৩ গড়ে রান দিয়েছেন তিনি।
অথচ টস জিতেছিল বাংলাদেশ এবং টস জিতে তারা ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সালমা খাতুনের এ সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করেন বোলাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে মাত্র ১০৬ রানে বেধে রাখতে সক্ষম হন তারা। কিচিয়া নাইট করেন সর্বোচ্চ ৩২ রান এবং স্টেফানি টেলর করেন ২৯ রান। এছাড়া নাতাশা ম্যাকলিন করেন ১১ রান। বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউই দুই অংকের ঘর ছুঁতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
জাহানারা আলম ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া রুমানা আহমেদ ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সালমা খাতুন ও খাদিজাতুল কুবরা নেন ১টি করে উইকেট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন