বিয়ে-বিচ্ছেদের কারণ ট্রাম্প
মাত্র ছয় মাসেই নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে জেরবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের কারণে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন পাঁচ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। তবে এবার কিছুটা ব্যতিক্রমী কারণে ‘বদনাম’ কুড়ালেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের কারণে হোয়াইট হাউসে সদ্য নিযুক্ত ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন অ্যান্থনি স্কারামুচির ঘর ভাঙচ্ছে।
স্কারামুচি ঘনিষ্ঠদের সূত্রে মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, ট্রাম্পকে একেবারেই পছন্দ করতেন না স্কারামুচির স্ত্রী দেইদ্রে বল। প্রেসিডেন্টের প্রতি স্বামীর প্রবল আনুগত্যও পছন্দ নয় তার। স্কারামুচির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমর্থন ছিল না দ্রেইদ্রের। এমনকী হোয়াইট হাউসে গিয়ে থাকাতেও প্রবল আপত্তি রয়েছে।
আর তাই স্কারামুচি হোয়াইট হাউসে পা রাখার এক সপ্তাহের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে বসেছেন দ্রেইদ্রে।
অনেকে আবার বলছেন, স্কারামুচির রাজনৈতিক উচ্চাশাও হতাশ করেছে দেইদ্রেকে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ট্রাম্প-বিরোধী ডেমোক্রেট প্রার্থী ক্যাথলিন রাইসের প্রচারে সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার অনুদান দেন দ্রেইদ্রে। ওই একই বছরে উইসকনসিনের গভর্নর রিপাবলিকান প্রার্থী স্কট ওয়াকারের নির্বাচনী প্রচারে প্রায় এগোরো হাজার ডলার ও জেব বুশের প্রচারের জন্য আড়াই হাজার ডলার দিয়েছিলেন তিনি।
বাফেলো ইউনিভার্সিটির স্নাতক দেইদ্রে বল ২০০৫ সালে স্কাইব্রিজ ক্যাপিটাল নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সাল থেকে স্কারামুচি ও দ্রেইদ্রের সম্পর্ক ছিল। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন।
জানা যায়, ওয়াল স্ট্রিটের জীবন আর তাদের লং আইল্যান্ডের বাড়িই পছন্দ ছিল দেইদ্রের। ওয়াশিংটনের ডিসির বিদঘুটে জীবন নয়। তাই দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন