বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির আশা
উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দেশের দক্ষিণ ও মধ্য-দক্ষিণ অঞ্চলে অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বিশেজ্ঞরা বলছেন, ব্রক্ষপুত্র-গঙ্গা-তিস্তা অববাহিকতায় মেঘের আনা গোনা কমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমেছে। এতে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্ট উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে পানি। চলতি সপ্তাহে ৬০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করা ব্রক্ষ্মপুত্র-যমুনা বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে এখন পানি প্রবাহিত হচ্ছে ২০ দশমিক সাত এক মিটার উচ্চতায় যা গত বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ডের সমান। এখনো ৪টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপরে বইছে যমুনা। তবে, পর্যায়ক্রমে উন্নতির আশা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বাংলাদেশে বন্যার ৯৩ শতাংশ পানির উৎস উজানের দেশ ভারত-নেপাল-ভুটান এবং চীনের অতিবর্ষণ বা বন্যা পরিস্থিতি। বাকি মাত্র ৭ শতাংশ বন্যার কারণ দেশের অভ্যন্তরের বৃষ্টি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার ব্রক্ষ্মপুত্র অববাহিকায় চীনের তিব্বতে অল্প সময়ে দুশো বছরের মধ্যে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। আর তিস্তা অববাহিকায় গত ৭৫ বছরেও এমন বৃষ্টি হয়নি। ফলে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি।
তবে, শরীয়তপুরে সুরেশ্বর ও মুন্সিগঞ্জসহ পদ্মায় বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মানিকগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা এবং বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।
গঙ্গায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বৃদ্ধির হার কমে আসায় পরিস্থিতি উন্নতির আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন