দুর্নীতির মামলায় বেরোবি’র সাবেক উপাচার্য ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার কারাগারে
বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল জলিল মিয়াকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বরে রুজু করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত রংপুরের একটি আদালত।একই সঙ্গে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. শাহজাহান আলী মন্ডলকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহ্স্পতিবার দুপুরে সাবেক উপাচার্য ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলার অপর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। রংপুর দুদকের উপপরিচালক মোজাহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এটিএম গোলাম ফিরোজ, উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম এবং উপ-রেজিস্ট্রারমোর্শেদ-উল-আলম রনি। এদের মধ্যে ড. আবদুল জলিল মিয়া বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে কর্মরত।
সাবেক এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ব্যতিরেকে নিয়োগ প্রদান ও কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়ে মামলা করে দুদক।
২০১৩ সালের ৪ মে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে গোপনে কানাডায় চলে যান সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল। প্রায় চার বছরের দায়িত্বকালে তার বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ও কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, সাবেক এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে গত ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রংপুরের কোতয়ালী থানায় একটি মামলা (৪০ নং) রুজু করেন সেই সময়ের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর রংপুর উপ-পরিচালক মো. আব্দুল করিম। পরে এ মামলায় গত ১৯ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার মামলার জামিন চাইতে গেলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন