বৈশাখ ফুরোলেও থামছে না কালবৈশাখীর ছোবল

পঞ্জিকার হিসেবে রবিবার বৈশাখের শেষ দিন। কিন্তু কালবৈশাখীর ছোবল থামছে না দেশজুড়ে। গত দুই সপ্তাহে প্রবল বজ্রপাতে সারাদেশে মৃত্যু হয়েছে অন্তত শতাধিক। এছাড়াও বজ্রাঘাতে পুড়েছে ঘরবাড়ি ও পাটের গুদাম। প্রকৃতির এমন রুদ্ররূপে স্বাভাবিক চলাচলে শঙ্কা বেড়েছে জনমনে।

রবিবার রাজধানীতে বেলা বাড়তেই ঘন মেঘে ঢেকে আসে আকাশ। দুপুর পৌনে ১টার দিকে শুরু বজ্রসহ বৃষ্টিপাত, সঙ্গে দমকা বাতাস। ভরদুপুরেও আকাশ ছেয়ে ফেলে ভারীমেঘে। হঠাৎ করে কালবৈশাখীর প্রচণ্ড দাপটে আর বৃষ্টি নামার ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচলতি সাধারণ মানুষের। কেউ কেউ মাথা গুজতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। যাত্রী না থাকায় যানবাহনও কমে আসে রাস্তায়।

সহকারী আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, ঢাকায় কালবৈশাখী হচ্ছে। এছাড়া বজ্রসহ মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টিপাত থেমে যাবে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাত বাড়বে।

সারাদেশে নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেট দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেতে দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলী চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ এবং বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার অবস্থা বিষয়ে এ পূর্বাভাসে বলা হয়, বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি বৃদ্ধি পেতে পারে।