ব্যাংকে টাকা না থাকার গুজব, কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি
সম্প্রতি মতিঝিলের ব্যাংক পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় অন্যান্য দিনের মতোই গ্রাহকরা প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা তুলছেন এবং জমা দিচ্ছেন। কারও মধ্যে নেই কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এমন চিত্র রাজধানীর মতিঝিলের কমবেশি সব ব্যাংকেই দেখা গেছে।
তবে হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজব ছড়িয়েছে, ব্যাংকে টাকা নেই। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হতে যাচ্ছে। তাই গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য হুড়োহুড়ি লেগেছে বলেও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে বিভ্রান্তিকর নানা তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সময় নতুন নোট পাওয়া মানেই বুঝতে হবে আর্থিক খাতে টান পড়েছে এমন মনগড়া গুজবও ছড়ানো হচ্ছে। এছাড়া বলা হচ্ছে, রিজার্ভও নাকি একেবারে শেষের দিকে।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বিষয়টি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশের বাইরে অবস্থান করে কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ অপপ্রচার চালাচ্ছেন। দেশের ভেতরেও কিছু মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত আছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) হারুন অর রশীদ বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়াচ্ছে সুযোগ সন্ধানীরা। সেসব গুজব রটনাকারীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের কিছু গ্রুপ রয়েছে আমরা তথ্য পেয়েছি। তারা মার্কেট থেকে ডলার কিনে নিচ্ছেন, তারা টাকা বাসায় রাখছেন। সেটাও আমরা খোঁজখবর রাখছি। যদি আমরা এমন তথ্য পাই যে যারা ডলার মজুত রাখছে অথবা টাকা বাসায় মজুত রাখছেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, একশ্রেণির সুযোগসন্ধানী লোক এসব গুজব ছড়িয়ে দেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, কিছু মতলববাজ গোষ্ঠী তারা ব্যাংকে টাকা নেই, এমন গুজব ছড়িয়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও করোনা পরিস্থিতির যে নাজুক অবস্থা তার সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সব কিছু মিলে জনগণের কাছে একটা গ্রহণযোগ্যতাও পেয়েছে এ গুজব। মূলত বিশৃঙ্খলা ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যেই তারা এসব করছেন।
তবে এ ধরনের গুজবে যেন সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত না হন সে জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন এ বিশেষজ্ঞ।
সূত্র: সময় সংবাদ
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন