ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান নিষিদ্ধের ঘোষণা অমানবিক : বাংলাদেশ ন্যাপ

বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সারাদেশে ব্যাটারি চালিত রিকশা, ভ্যান নিষিদ্ধের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে অবিলম্বে একই অমানবিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা করোনা দুর্যোগের মধ্যে ব্যাটারীচালিত রিক্সা-ভ্যান-ইজিবাইক বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণাকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেবার দাবি জানিয়ে বলেন, করোনার এই মহামারীরকালে অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে, আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে, ৬২% মানুষ আয়-রোজগার হারিয়েছে ৫২% মানুষ খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। স্বকর্মসংস্থান করে রিকশা, ব্যাটারি রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে তখন তুঘলকি কায়দায় ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান নিষিদ্ধ করার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ঘোষণা ৫০ লক্ষ পরিবারকে মানবেতন জীবনের দিকে ঠেলে দিবে। যা সমাজে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজন্য তৈরি করবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, রিকশা, ব্যাটারি, মোটর আমদানী করে ব্যবসায়ীরা, বিক্রি করে দোকানদার ব্যবসায়ীরা, সেগুলো আমদানী ও বিক্রি বন্ধ না করে রিকশা নিষিদ্ধ অমানবিক। দরিদ্র কর্মহীন মানুষ এনজিওসহ বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে ৬০/৭০ হাজার টাকা খরচ করে রিকশা কিনে চালিয়ে যখন জীবিকা চালাচ্ছে তখন সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোনক্রমেই শ্রমজীবী রিকশা চালক-মালিকরা মেনে নেবে না।

তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার অযুহাত দেখিয়ে অটোরিকশা-ভ্যান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অথচ দুর্ঘটনার পেছনে দায়ী সরকারের সুষ্ঠু সড়ক ব্যবস্থাপনার অভাবও সমানভাবে দায়ি। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ব্যাটারি যন্ত্রপাতি আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সব রকমের সুযোগ রাখা হয়েছে। সেই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই, অথচ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কোনোমতে জীবন চালায় যে রিকশা শ্রমিক, তাদের জীবনের ওপর চাপিয়ে দেয়া অন্যায় সিদ্ধান্ত।