ব্যাটিং ব্যর্থতায় লজ্জার হার বাংলাদেশের

প্রথম ইনিংসের মতোদ্বিতীয় ইনিংসেও চরম ফ্লপ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১২৩ রানেইগুটিয়ে গেল তারা। এতে ঢাকা টেস্টে ২১৫ রানের দাপুটে জয় তুলে নিল শ্রীলংকা। এ জয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের পর ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজও জিতল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৩ রানে দিলরুয়ান পেরেরার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। এ নিয়ে ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হলেন ড্যাশিং ওপেনার। অধারাবাহিকতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। দলীয় ৪৯ রানে রঙ্গনা হেরাথের শিকার হয়ে ফেরেন এ বাঁহাতি ওপেনার।

এর পর ফিরে যান মুমিনুল হক। ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই সাবলীল ছিলেন না তিনি। লংকান বোলারদের বদান্যতায় বেশ কয়েকবার জীবন পান। তবু নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারেননি। অবেশেষে দলীয় ৬৪ রানে হেরাথের শিকার হয়ে ফেরেন পয়েট অব ডায়নামো (৩৩)।

প্রতিরোধ গড়তে পারেননি লিটন দাসও। তামিম, ইমরুল, মুমিনুলের পর সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। এবার শিকারী আকিলা ধনাঞ্জয়া। তার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এতে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।

এ পরিস্থিতিতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১০০ রানে ধনাঞ্জয়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ভায়রা ভাইয়ের বিদায়ের পর টিকতে পারেননি লড়তে থাকা মুশফিকুর রহিমও। স্কোর বোর্ডে আর ২ রান যোগ হতে ফেরেন তিনি। হেরাথের শিকার হয়ে ফেরার আগে মিস্টার ডিপেন্ডেবল করেন ২৫ রান।

মুশফিকের বিদায়ে জয় দেখতে থাকে শ্রীলংকা। পরে লংকান স্পিনারদের ঘূর্ণিতে বালির বাঁধের মতো উড়ে যান টেলএন্ডার। শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

মাহমুদউল্লাহ বাহিনীকে গুঁড়িয়ে দিতে সামন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লংকান দুই স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়া ও রঙ্গনা হেরাথ। ধনাঞ্জয়া নিয়েছেন ৫ উইকেট। ঘূর্ণি জাদুকর হেরাথের শিকার ৪টি।

এ টেস্টে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। চতুর্থ ইনিংসে কখনও ৩ শতাধিক রান তাড়া করে জেতেনি টাইগাররা। জিততে হলে তাই করে দেখাতে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে। ২০০৯ সালে সেন্ট জর্জেসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।

এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। এতে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৯।

৮ উইকেটে ২০০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে খেলতে নামে অতিথিরা। ২৬ রান তুলতেই বাকি ২ উইকেট হারায় তারা। ২টি উইকেটই নেন তাইজুল ইসলাম। দলীয় ২২৬ রানে পরপর ২ বলে তিনি ফেরান লাকমল (২১) ও হেরাথকে। লংকানরা সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলায় হ্যাটট্রিকের সুযোগ রয়েছে তার। ১৪৫ বলে ১০ চারে ৭০ রানের বীরোচিত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রোশেন সিলভা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২ উইকেট ঝুলিতে ভরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।