বড় একটি দল না থাকায় ভোটার উপস্থিতি কম : সিইসি
‘বড় একটি দল নির্বাচন বয়কট করেছে। আমার ধারণা, সে কারণে নির্বাচনে তাদের ভোটার আসেনি এবং নির্বাচনটা ওইভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি। তবে নির্বাচন নিয়ে তাঁদের কোনো অনীহা ঘটেনি।’
বুধবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে সিলেট জেলার ১২টি উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা।
চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে মোট ১০টি উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম প্রধানত দেব যেখানে সদর উপজেলা আছে সেখানে। তার কারণ, সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা একটু ভাল। প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের সঙ্গে পরিচিতি করানোর জন্য এটা শুরু করব।’ এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে পৌরসভা ও সংসদ আসনের উপনির্বাচনে পুরোপুরি ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও জানান সিইসি।
মতবিনিময় সভায় সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল সবাইকে যথাযথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান সিইসি কে এম নুরুল হুদা।
এ সময় নির্বাচনে কোনো অবস্থাতেই সহিংসতা বরদাশত করা হবে না বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘সহিংসতা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো জানান, ‘পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ সুষ্ঠু হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাচনটা ভালোভাবে করা সম্ভব হয়েছে।’ দ্বিতীয় ধাপের (১৮ মার্চ) নির্বাচনও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে জানান তিনি।
প্রশাসনের আন্তরিকতার ফলে ভোট উৎসব সুষ্ঠু হয়ে থাকে জানিয়ে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ‘প্রত্যেক ভোটার বিনা বাধায় যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, এ রকম পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’ ভোটকেন্দ্রে যেন কোনো ভোটারকে বাধা দেওয়া না হয়, সে বিষয়েও দৃষ্টি দিতে হবে বলে জানান তিনি।
সিইসি আরো বলেন, ‘ভোট গ্রহণ শেষে প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে এজেন্টের উপস্থিতিতে ভোট গণনা সম্পন্ন করে তার স্বাক্ষর নিতে হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন