ভলিউম কম বা বেশি দু’ভাবেই ক্ষতি করে হেডফোন!
হেডফোন। ছোট্ট এই গেজেটটি ছোট-বড় সবাই ব্যবহার করলেও এর পার্শ প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।
সারাদিন হেডফোনে গান শুনা বা কানের মাঝে হেডফোন পুরে রাখলে স্বভাবতই আপনার কানের ও শ্রবণশক্তির চরম ক্ষতি হচ্ছে।
গবেষকদের মতে, ভলিউম কম বা বেশি দুই ভাবেই কানের ক্ষতি করে হেডফোন। যখন আপনি হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তখন সরাসরি অডিও আপনার কানে যায়। ৯০ ডেসিবেল বা তার বেশি মাত্রার শব্দ যদি আপনার কানে যায়, তাহলে শ্রবণ জটিলতা ঘটাতে পারে এবং এমনকি আপনি চিরতরে আপনার শ্রবণ ক্ষমতা হারাতেও পারেন। এছাড়া ১০০ ডেসিবলের উপর মাত্র ১৫ মিনিট এয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।
সমীক্ষায় জানা যায়, যারা অতিরিক্ত হেডফোন ব্যবহার করেন, তারা সাধারণত এর সমস্যায় ভুগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ভোঁ ভোঁ আওাজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু ক্ষতির লক্ষণ। একটি হেডফোন একজনেরই ব্যবহার করা উচিৎ। কিন্তু আমরা একটি এয়ারফোন একাধিক ব্যক্তি, বন্ধু-বান্ধবদের সাথে শেয়ার করে থাকি। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবণা থাকে। কারণ এয়ারফোনের মাধ্যমে একজনের কানের জীবাণু অন্যজনে বাহিত হয়। সুতরাং এখন থেকে এয়ারফোন শেয়ার করবেন না। করলে অবশ্যই ব্যবহারের পূর্বে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিবেন। যারা এয়ারফোন ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে। এই জড়তা স্বাভাবিক হলেও দীর্ঘ সময় উচ্চস্বরে মিউজিক বাজালে শ্রবণশক্তিও হারাতে পারেন। হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর যারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরো বেশি ঝুঁকিতে আছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন