ভাইকে খুন করে গুমের চেষ্টা ছোটভাইয়ের, ৯৯৯ ফোন করে লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বড়ভাইকে হত্যার পর মরদেহ পুকুরের নিচে মাটিচাপা দিয়ে গুমের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে।
৯৯৯-এ ফোন করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মাটি খুঁড়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নরসিংদীর মাধবদীর মহিষাসুরা ইউনিয়নের দাইরেরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহাগ দাইরেরপাড় গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছেন, গত ২ মার্চ রাতে নিহত সোহাগ নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করে বাড়িতে ফিরেন। ওই সময় সোহাগ তার মাকে রাগারাগি ও গালাগাল করছিলেন। একপর্যায়ে সোহাগ উত্তেজিত হয়ে তার মাকে মারধর করতে থাকেন। এতে তার বাবা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করে।
পরে ছোটভাইয়ের স্ত্রীকে নিপীড়নের চেষ্টা করেন। এর পর সোহাগের ছোটভাই জহিরুল ক্রিকেট বেট দিয়ে সোহাগের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে নিহতের মরদেহ বাড়ির পাশে একটি পুকুরপাড়ে মাটিচাপা দিয়ে মরদেহ গুম করে রাখা হয়।
এদিকে সোহাগকে দেখতে না পেয়ে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পর মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এরই মধ্যে মাধবদী থানা পুলিশ নিহতের ছোটভাইয়ের দুই বউকে আটক করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশে একটি পুকুরপাড় থেকে নিহত সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মাধবদী থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার পর মরদেহ গুম করে রাখা হয়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন