ভারত-শ্রীলঙ্কার ম্যাচ: দেশ বড়, নাকি শ্বশুরবাড়ি?

ভারত ও শ্রীলঙ্কার খেলা হলে কি সমস্যায় পড়ে যান মাধিমালার মুরালিধরন? শ্রীলঙ্কান স্পিন জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরনের ভারতীয় স্ত্রী। স্বামী একসময় ছিলেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের সাফল্যের অন্যতম অস্ত্র। তিনি নিজে ভারতীয় নাগরিক। দেশ না শ্বশুরবাড়ি—মাধিমালারের এই সমস্যাটা বড় জটিল হওয়ারই কথা। গত গল টেস্টে যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি আবার।

তবে মাধিমালার দাবি অন্য রকম। ২০০৫ সালে মুরালিকে বিয়ে করার আগে ক্রিকেট খেলাটাই নাকি খুব একটা পছন্দের ছিল না। সে হিসেবে খুব সহজেই তিনি নিজের অবস্থানটা বেছে নিতে পারেন। ভারত-শ্রীলঙ্কার লড়াইয়ে সে কারণেই নাকি নিরপেক্ষ! দুই দলেরই সাফল্য নাকি চান তিনি। ভাগ্যিস টেস্টে অন্তত ম্যাচ ড্র হয়!

শ্রীলঙ্কায় স্বামীর বাড়ি হওয়ায় এটিও তাঁর পছন্দের জায়গা। কিন্তু নিজের দেশকে ফেলে দেবেন কী করে? ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে এই ব্যাপারটিই চলে আসে সামনে, ‘আমি এই দুই দেশের ক্রিকেট ম্যাচের সময় নিরপেক্ষ থাকি। দুই দেশই আমার প্রিয়। আমি দুই দেশেরই সাফল্য চাই। সমর্থনের কথা যদি বলা হয়, তাহলে আমার ১০ বছর বয়সী ছেলের কথা বলা যাবে। নরেন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের খুব কড়া ভক্ত।’

২০০৫ সালে বিয়ের আগে ব্যবসায় প্রশাসনে পড়াশোনা করেছেন। স্বামী বিখ্যাত ক্রিকেটার হওয়ায় ক্রিকেট-জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে তাঁকেও। ছেলে নরেন ছাড়াও মুরালিধরন দম্পতির আছে ৫ বছরের একটি মেয়ে। ভারত মহাসাগরের বুকে এপার-ওপার মিলিয়ে দারুণ সুখের সংসার তাঁদের। ক্রিকেটের জয়-পরাজয় সেই সুখে চিড় ধরাতে পারেনি কখনোই।-জি নিউজ।