ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরা সীমান্তে শরীয়তপুরের অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্ত সুমন হোসেন ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

এর আগে রোববার রাতে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার এসআই নুর মোহাম্মাদের নেতৃত্বে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে দেবহাটা থানারে পদ্মশাখরা সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে।

সুমন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ঢেপুখালীর আব্দুর সবুর সরদারের মেঝ ছেলে।

ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর মা বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২জুন) সকালে আমার মেয়ে স্কুলে পরিক্ষা দিতে যায় কিন্তু বিকাল হলেও বাড়িতে ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে জাজিরা থানায় জিডি করি। পরবর্তীতে পুলিশের তৎপরতায় দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুমনের বাবা সবুর সরদার জানান, ছেলে শরীয়তপুরে ইটভাটায় কাজ করতে যাওয়ার সুবাদে মেয়েটির সাথে তার পরিচয়। সেই সূত্রে সুমনের হাত ধরে মেয়েটি পালিয়ে আসে।

তাকে অপহরণ করা হয়নি বলে দাবি করেন সবুর সরদার।

দেবহাটা থানার এসআই নুর মোহাম্মদ জানান, গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে মেয়েটি দেবহাটা উপজেলার আতাপুর গ্রামে সুমনের ভগ্নীপতি সাহেব আলী সরদারের বাড়িতে রয়েছে। তবে মেয়েটিকে সরিয়ে ফেলার কারণে অভিযান চালিয়ে প্রথমে উদ্ধারে ব্যর্থ হই। পরবর্তীতে ভারতে পাঁচারকালে দেবহাটার পদ্মশাখরা সীমান্ত এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাঁচারকারি সুমন ও তার ভগ্নিপতি সাহেব আলী পালিয়ে যায়।

দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া আষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী দেবহাটা থানা এলাকায় আছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ৭ঘন্টার অভিযানে মেয়েটিকে উদ্ধার করে সোমবার দুপুরে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।