ভারতে প্রশংসায় ভাসছে শাকিব খান
ভারতে প্রশংসায় ভাসছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। যোগ্যতার পুরস্কারও পুরে নিচ্ছেন অর্জনের ঝুলিতে। ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে শাকিব অভিনীত ‘নাকাব’ ছবিটি। ছবিটি দেখতে ছবিঘরে উপচে পড়ছে দর্শক। তা দেখে অভিভূত হয়েছেন কলকাতার ছবির সুপারস্টার জিৎ।
তিনি বলেছেন, এর আগেও শাকিব খানের ছবি দেখেছি। তার ছবি যতই দেখছি তার অভিনয় কারিশমায় ততই মুগ্ধ হচ্ছি। তার মতো একজন দক্ষ অভিনেতার পক্ষে সহজেই সবার মন জয় করে নেওয়া সম্ভব। ‘নাকাব’ ছবিটি দেখে তার প্রমাণ পেলাম। শাকিবের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত জিত আরও বলেন, বেস্ট অব লাক বন্ধু শাকিব, তুমি সফলতার পথ ধরে বহুদূর এগিয়ে যাও।
জিতের প্রশংসায় ধন্যবাদ জানিয়ে শাকিব বলেন, নিজ দেশের পর প্রতিবেশী দেশের মন জয় করতে পেরেছি এটি আমার একার প্রাপ্তি নয়, নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশেরও গর্বের বিষয়। আমি চাই বাংলা ছবি নিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আরও সুনাম বয়ে আনতে। আমি জানি, ভালো কাজ করতে গেলে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা আসবেই। তাই বলে থেমে গেলে তো চলবে না। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার মিশনে বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে আমাকে এগিয়ে যেতেই হবে।
শাকিব খান ২০১৬ সালে যৌথ প্রযোজনার ‘শিকারি’ ছবির মাধ্যমে সর্বপ্রথম দেশের বাইরের ছবিতে অভিনয় করেন। আর প্রথম বিদেশি ছবিতে অভিনয় করেই শুধু ভারত-বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব দর্শকদের মন জয় করেন। ছবিটি ২০১৭ সালে কলকাতার কালচারাল অ্যাওয়ার্ডে সেরা ছবির সম্মান লাভ করে। ২০১৭ সালে ছবিটির জন্য শাকিব খান কলকাতার টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
এরপর শাকিব অভিনীত ‘নবাব’ ছবিটিতে অন্য এক শাকিবকে পেয়ে দুই বাংলাসহ বিশ্বের দর্শক মুগ্ধ হন। মধ্যপ্রাচ্যে কোনো বাংলা ছবি হিসেবে শাকিবের ‘নবাব’ মুক্তি পেয়ে ব্যাপক সাড়া জাগায়। সেখানকার সিনেপ্লেক্সগুলোতে অন্য ছবি নামিয়ে শুধুই ‘নবাব’ প্রদর্শিত হয়। ‘নবাব’ আর ‘শিকারি’ উঠে আসে কলকাতার সেরা দশ ছবির তালিকায়।
সেখানকার পত্রিকায় খবরটি ছিল এমন—‘ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের জনপ্রিয়তা কলকাতায়ও ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু জনপ্রিয়তাই নয়, টালিউড ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই শীর্ষ নায়ক। কলকাতার সেরা ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় শাকিব খান অভিনীত দুটি ছবি স্থান পেয়েছে। এগুলো হলো ‘শিকারি’ ও ‘নবাব’। উইকিপিডিয়ায় কলকাতার ব্যবসাসফল ছবির তালিকায় স্থান পাওয়া ২০১৭ সালের প্রথম ১০ ছবির মধ্যে একটি শাকিব খানের। তালিকার ছয় নম্বর স্থানে রয়েছে শাকিবের ‘নবাব’।
এরপর মুক্তি পেল ‘চালবাজ’ ও ‘ভাইজান এলোরে’। ‘চালবাজ’ দেখে বলিউড অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী আর টালিগঞ্জের রজতাভ দত্ত একই সুরে বলেন, ছেলেটি অসাধারণ অভিনয় করে। তার তুলনা তিনি নিজেই। না হলে ভারতে এসে বাইরের কোনো অভিনয় শিল্পীর স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে নেওয়া সহজ হতো না। শাকিবের ‘ভাইজান এলোরে’ দেখে কলকাতার খ্যাতিমান অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক এক টুইট বার্তায় বলেন—তার অভিনয়ে আমি মুগ্ধ, ছেলেটির মধ্যে অভিনয় জাদু আছে, আমি রীতিমতো তার ভক্ত হয়ে পড়েছি। শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে শাকিব খানের এখন এমনই জয়জয়কার।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন