ভারতে মহানবী (সা.) কে কটুক্তির প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ

ভারতের মহারাষ্ট্রের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও বিজেপি সাংসদ নিতেশ নারায়ন রায় কতৃর্ক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শান নিয়ে কটুক্তি ও অবমাননা করায় পঞ্চগড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পঞ্চগড়ের সর্বস্থরের ধর্ম প্রাণ মুসলমান ও ছাত্র—জনতা।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানীকারী পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড— ব্যানারে শনিবার (৫ অক্টোবর) পঞ্চগড় চৌরাস্তা মোড়ে পঞ্চগড় জেলাবাসীর পক্ষে মো. জাকির হোসেনের আয়োজনে এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ—সমাবেশ করা হয়।

স¤প্রতি ভারতের মহরাষ্ট্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে মানহানী করে বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ—সমাবেশে বক্তব্য দেয় মো. জাকির হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর, মো. আলী আকতার, মো. রুবেল ও মুক্তার হোসেনসহ আরো অনেকেই।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটুক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই কটুক্তিকারীকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। ভারত সরকারকে চাপ দেয়া যেন রামগিরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু।

এটা বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বীকার করতে হবে। নেপালের হিন্দুরা ভারত বিরোধী হলে, বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারত বিরোধী হতে সমস্যা কোথায়? ভারতে আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে এত বড় কটুক্তির ঘটনা ঘটে গেছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উচিত তাদের আসন্ন দূর্গা পূজায় এ ব্যাপারে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা এবং কটুক্তিকারীর শাস্তি দাবী করা। হিন্দুরা যে দেশদ্রোহী নয় তা প্রমাণের জন্য যারা অখন্ড ভারতের কথা বলে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়াটা হিন্দুদেরই দায়িত্ব।