ভারতে সবার গরুর মাংস খাওয়ার অধিকার আছে : মোদি সরকারের মন্ত্রী
ভারতে সবার গরুর মাংস খাওয়ার অধিকার আছে। বললেন নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য রামদাস আঠাওয়ালে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে গরুর মাংস বহন করার ‘অপরাধে’বেধড়ক পিটানো হয় ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এক মুসলমান নেতাকে।
সেলিম ইসমাইল নামে ওই ব্যক্তি বিজেপির নাগপুরের সংখ্যালঘু সেলের নেতা।
ওই ঘটনার জেরে যখন তোলপাড় চলছে, তখন বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিমন্ত্রী রামদাস।
তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই নিজের পছন্দের মতো খাবার গ্রহণ করার অধিকার আছে। ঠিক তেমনই গরুর মাংস খাবার অধিকারও সবার আছে।
গো-রক্ষকদের কঠোর শাস্তি পাওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, গো-রক্ষার নামে মানুষের ওপর আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
গো-রক্ষার নামে মানুষের ভক্ষক বানানো উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আপনার পুলিশের কাছে যাবার অধিকার আছে। কিন্তু তাই বলে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার নেই।
রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার (আরপিআই) প্রধান এ নেতা বিজেপির শরিক দল হিসেবে মন্ত্রিত্বের শপথ গ্রহণ করেছিলেন।
গো-রক্ষকরা যদি নির্যাতন না কমায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে নিজের দলের সব নেতাকর্মীদের নিয়ে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দেন এ নেতা।
নাগপুরের ওই ঘটনা ছাড়াও গো-রক্ষার নাম করে এর আগে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে এক দুধ বিক্রেতাকে ব্যাপক মারধর করে তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তার ‘অপরাধ’বাড়ির সামনে একটি গরুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।
এ বিষয়ে গেলো মাসের শেষ সপ্তাহে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি এ নিয়ে হরিয়ানায় জুনেইদ খান নামে ১৬ বছরের এক কিশোরকে খুনের ঘটনাও ঘটে।
ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা জুনেইদকে দেশবিরোধী এবং মাংসখেকো বলে অভিযুক্ত করা হয়।
জুনেইদকে খুনের ঘটনার আগে রাজস্থানে দুধ বিক্রেতা পহেলু খানকে গরু চুরির অপরাধে খুন করে গো-রক্ষকরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন