ভারতের পতাকা পুড়িয়ে পাকিস্তানের সাহায্য চাইলেন নাগা তরুণী
ভারতের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত অবমাননা। ভারতের তিরঙ্গা পতাকা পুড়িয়ে দিলেন এক তরুণী। এখানেই শেষ নয়, নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতা দাবি করে পাকিস্তানের সাহায্য চাইলেন ওই যুবতী। গোটা ১.২৩ মিনিটের এমনই একটি ভিডিও ইউটিউবে ছাড়া হয়েছে।
তবে এই ভিডিও আদৌ ভারত থেকে ছাড়া হয়েছে নাকি এটা চীনের কারসাজি তা নিয়ে যথেষ্ঠ ধন্দে রয়েছে পুলিশ। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নাগা এবং চীনাদের শরীর ও চেহারা কিছু হওয়ায় তালগোল গুলিয়ে ফেলছে তদন্তকারীরা।
ভিডিও তে ওই তরুণীর বিবৃতিতে শোনা যাচ্ছে, ‘বন্ধু পাকিস্তান, প্রথমেই আমি আপনাদের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। প্রথমেই আমি আপনাদের জানাতে চাই নাগারাও ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে। কারণ এই একই দিনে নাগারাও ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীন হয়েছিল। আপনারাও একই দিনে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছেন।
দুর্ভাগ্যবশত, পাকিস্তান স্বাধীনতা পেলেও, ব্রিটিশরা যাওয়ার পর আমরা এখনও ভারতের দাস হয়ে রয়েছি। এখনও পর্যন্ত নাগারাও ব্রাহ্মণ সন্ত্রাসী রাজ্যগুলোর থেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালাচ্ছে, কাশ্মীরি ও শিখদের মত। নাগাদের স্বাধীনতায় আপনাদের সাহায্য চাইছি। তেরঙ্গা পতাকা জ্বালিয়ে দেওয়াই এই মুহূর্তে বুদ্ধিমানের কাজ।’
পতাকা পুড়িয়ে ফের বক্তব্য রাখে ওই অজ্ঞাতপরিচয় তরুণী। তার আরও বক্তব্য, ‘আমরা ভারতীয় নই। ভারতে থাকতে চাই না। ১৫ আগস্টকে আমরা কালো দিন হিসাবে মনে করি। আমাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, সেনাবাহিনী আছে। কেন আমরা ভারতের গোলামি করব? আমরা স্বাধীনতা চাই।’
এমনকি ভিডিটিতে ওই তরণী গান্ধীজিকেও টেনে এনেছেন, মহাত্মা গান্ধীর বক্তব্য উদ্ধৃত করে তরুণীটি বলে, মহাত্মা গান্ধী নাগাদের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ‘ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রে নাগারা আসতে না চাইলে তাদের জোর করা হবে না। কোনও নাগাকে হত্যা করার আগে আমায় গুলি করুন।’
পুরো ভিডিওটি নিয়ে তদন্ত করছে নাগাল্যান্ড পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাদের দাবি, ভিডিওতে তরুণীর উচ্চারণ নাগাদের মত নয়, খুব সম্ভাবত ভিডিওটি চীনে শ্যুট করা হয়ে থাকতে পারে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন