‘ভারতের সেনাপ্রধানের বক্তব্যের জবাব দেয়া উচিত’
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধানের বক্তব্যের জবাব দেয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক অধ্যাপক আফসান চৌধুরী।
আফসান বলেন, ‘ভারতের সেনা প্রধান বলেছেন চীন এবং পাকিস্তানের কথামতো বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী ঢুকাচ্ছে। এটা কিন্তু খুব অস্বাভাবিক না। বিভিন্ন দেশে অভিবাসন হয়ে থাকে। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে চীন এবং পাকিস্তান ষড়যন্ত্র করে লোক পাঠাচ্ছে। তার অংশ হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এই ট্রায়াঙ্গাল ষড়যন্ত্রর অংশগ্রহণ করা…এটা বলা তার জন্য অপরিপক্ক হয়েছে। আমাদের কিছুটা হলেও এটার উত্তর দেয়া উচিত।’
‘কারণ তা না হলে মনে হচ্ছে যে আমরা আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। নিরাপত্তার সেই নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে চীন এবং পাকিস্তানের হাতে। এই ধরনের কথার আমার মনে হয় প্রতিবাদ করার প্রয়োজন আছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন আফসান চৌধুরী।
‘অন্তত কিছু না হলেও আমাদের বোঝানো দরকার যে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এমন কোনো কু-সম্পর্ক নেই যে আমরা ষড়যন্ত্রের অংশ হবে। বাংলাদেশকে এর মধ্যে টেনে আনার কোনো মানে হয় না। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। সবাই তো নজর রাখছে। কিন্তু তাদের কথায় মনে হয়েছে সবাই ষড়যন্ত্রের অংশ হয়েছে। কিন্তু আমরা কিছুই জানি না।’
‘মনে হচ্ছে আমাদের এসব জানার দক্ষতাও নেই। প্রত্যেকটা বিভাগের উপরই তার কথার প্রভাব পড়ে। আমাদের অপেক্ষা থাকতে হবে বাংলাদেশ এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় কি না।’
বিশিষ্ট এই গবেষক বলেন, ‘এমন সময় ভারতের সেনাপ্রধান কথাটা বললেন ঠিক যে সময় আমাদের একটা মিটিং হয়েছে। দুই দেশের সাংবাদিকদের মধ্যে মিডিয়া ডায়ালগ হয়েছে। আমরা যতই সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করছি না কেন, কিন্তু ভারতের সেই পর্যায়ে আমাদের কথাগুলো পৌঁছাচ্ছে না বলে আমার কাছে মনে হয়।’
মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় ওই অনুষ্ঠানে আফসান চৌধুরী বলেন, ‘আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক সমস্যার মুসলমানিকরণটা একটা দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে আমরা দেখছি ভারতে মুসলমানিকরণ করা হচ্ছে। আবার আমাদের দেশেও।’
‘আন্তর্জাতিক রাজনীতি যদি ধর্মভিত্তিক হয় সেটা কারো জন্য ভাল নয়, না ভারতে জন্য না বাংলাদেশের জন্য। তাই এই জায়গা আমাদের রাজনীতির অনেক কিছু করার আছে।
মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আফসান চৌধুরী বলেন, ‘ছোট দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল দেশ মিয়ানমার। কারণ চীনকে সামলাতে পেরেছে একমাত্র মিয়ানমার। মিয়ানমারে চীনের বিশাল বিনিয়োগ। যেটা স্থাবর বিনিয়োগ। এটার অসুবিধা হচ্ছে এটা উঠিয়ে নেয়া যায় না। বাংলাদেশেও চীনের বিনিয়োগ আছে। কিন্তু সেটা অস্থাবর। এ কারণে চীনের উপর চাপটা প্রয়োগ করতে পারছে মিয়ানমার। মিয়ানমার যে চীনের কথা শুনছে আবার চীন যে মিয়ানমারের কথা পুরোপুরি শুনছে আসলে তা নয়।’
‘একটা সময় পর্যন্ত তারা শোনে। মিয়ানমারেও অ্যান্টি চীন সেন্টিমেন্ট অনেক আছে। এটা নিয়ে আমি কাজ করেছি। দেখেছি। মিয়ামারে অ্যান্টি চীন সেন্টিমেন্ট যথেষ্ট শক্ত।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন