ভালোবাসার ফাঁদে পড়ে ভারসাম্যহীন স্কুলছাত্রী শিকলবন্দি
ভোলা সদর উপজেলার আলগী গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে ভালোবাসার ফাঁদ পেতে মোটা অংকের টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পার্শ্ববর্তী মহল্লার বখাটে যুবক খলিলের বিরুদ্ধে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে স্কুলছাত্রী ফাতেমা। মান সম্মানের ভয়ে ভারসাম্যহীন ওই ছাত্রীকে শিকল দিয়ে বেঁধে তিন মাস যাবৎ ঘরের ভেতর আটকে রাখা হয়েছে। ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী একই পরিবারে দুই বোন ফাতেমা ও পান্না ওই বখাটে খলিলের ভয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে।
এমন অমানুষিক ঘটনা ঘটেছে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছোট আলগী গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার বাড়িতে। ওই স্কুলছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস পূর্বে ফাতেমার ভগ্নিপতির বন্ধু হিসেবে ভোলা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মহিলা মাদ্রাসা সড়কের মৃত আবু তাহেরের ছেলে খলিল ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু করে। এক পর্যায়ে খলিলের লোলুপ দৃষ্টি পরে ফাতেমার ওপর। কৌশলে ভালোবাসা শুরু করে অল্প সময়ে তরুণী ফাতেমার মন জয় করে ফেলে। এবার বিয়ের কথা বলে ৩ লাখ টাকা দাবি করে খলিল। এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা না দিলে যাদুর প্রভাব দিয়ে ফাতেমাকে পাগল করার হুমকি দিয়ে যায় খলিল। এর কয়েকদিন পর থেকেই ভারসাম্যহীন হয়ে যায় ফাতেমা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মো. জাকির ও মো. ইউসুফ বলেন, ফাতেমার অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এখনি যদি এই মেয়েটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নেয়া হয় তাহলে মেয়েটি মারা যাবে। তার কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যায়, কিন্তু কী করব বলেন? এই ফাতেমার বাবা মো. ইলিয়াস এত গরিব, তার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে খলিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে বলে, আমার কিছুই করার নেই। মেয়ে বাচুক, নইলে মরুক তাতে, আমার কিছুই আসে যায় না। মেয়ে-বাবা যা পারে তা করুক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন