ভালোবাসার ফুল বিক্রি করে সংসার চালান আব্দুর রশিদ!

ফুল আর ভালোবাসা যেন একই সুতোয় গাঁথাফুল আর ভালোবাসা যেন একই সুতোয় গাঁথা। ফুল ভালোবাসার প্রতীক, পবিত্রতার প্রতীক। প্রেম ভালোবাসা আছে আর সেখানে ফুল বা ফুলের মালা নেই-তা কি হয়! গোলাপের পাপড়িতে নয়ন রেখে প্রেমিকা তার প্রেমিককে অন্তঃনয়নে পুরে নেয়। ফুলের কমল পরশে ভালোবাসার মানুষটিকে হৃদমাজারে আগলে রাখতে চায়। তাইতো ফুলকে ভালোবাসে না এমন মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে না। তাই প্রকৃতি ও ফুল প্রতিটা মানুষকে কাছে টানে। সে কারণে প্রতিটি মানুষ প্রকৃতি ও ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভালোবাসেন।

প্রকৃতি ও সৌন্দর্য পিপাসু প্রতিটি মানুষ তাদের বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে ফুল চাষ করে থাকেন। কেউ বা আবার ফুলের গাছ টবে লাগিয়ে বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় রাখেন। কেউ কেউ আবার এই ভালোবাসা বিক্রি করেই সংসার চালান।

তাদের মধ্যে আব্দুর রশিদ আকন্দ একজন। ৭০ বছরের এই বৃদ্ধ বয়সের ভারে নুয়ে গেলেও সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল বাজারে ফেরি করে মানুষের কাছে ভালোবাসার ফুল বিক্রি করেই ৫ সদস্যদের সংসার চালাচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল বাজারে ফুল নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় থাকেন আব্দুর রশিদ আকন্দ। তিনি উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর এলাকার বাসিন্দা।

১২ ডিসিমাল জায়গায় লাল গোলাপ, গন্ধরাজ, ডালিয়া, গাঁদা, হাসনাহেনাসহ প্রায় ১০ জাতের ফুল চাষ করেছেন তিনি। খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। সব খরচ বাদে প্রায় ১ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানান আব্দুর রশিদ আকন্দ।

আব্দুর রশিদ আকন্দ বলেন, কৃষি কাজের পাশাপাশি গত ৪ বছর ধরে ফুল চাষ করে পরিবারের খরচ চালাচ্ছি। ৮-১০ জাতের বীজ বগুড়া থেকে এনে চাষ করা শুরু করি। ফুল ও পরিটর্যাসহ যাবতীয় খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। তবে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মৌসুমে প্রায় ১ লাখ টাকা লাভ হয় বলে তিনি জানান।

তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন ভোরে জমি থেকে ফুল তুলে জামতৈল বাজারে নিয়ে এসে ফেরি করে ৮০০-৯০০ টাকার ফুল বিক্রি করি। খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪’শ থেকে ৫’শ টাকা থাকে।