ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়া ব্যর্থতা : বাংলাদেশ ন্যাপ

সমগ্র জাতি যখন স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালন করছে তখন স্বাধীনতা বীজ বপন হয়েছিল যেই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সেই ভাষা সৈনিকদের এখনও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি, দেয়া হয়নি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়ার ব্যর্থতা ৫০ বছরের শাসক গোষ্টির। এই ব্যর্থতার দায় হতে শাসকরা মুক্তি পেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, প্রতি বছর ভাষা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হলেও ভাষা সংগ্রামীরা বরাবরের মতোই অবহেলিত। মফস্বলের ভাষা সৈনিকদের স্থানীয় প্রশাসন ভাষার মাসে খোঁজ নেয় না। সব ভাষা সংগ্রামীদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। মনে রাখতে হবে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের উত্তাল দিনগুলোতে ভাষা সংগ্রামীদের বীরত্বপূর্ণ আন্দোলনের কারণেই একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। তবুও ভাষা সংগ্রামীরা আজ চরমভাবে অবহেলিত।

নেতৃদ্বয় বলেন, আজও পর্যন্ত ভাষা সংগ্রামীদের কোনও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো কেন ভাষাসংগ্রামীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় না ? নতুন প্রজন্মকে ভাষা সৈনিকদের অবদান সম্পর্কে জ্ঞাত করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এতে করে জাতীয় যে কোনো সংকটে নতুন প্রজন্মও যে কোনও ত্যাগ স্বীকারে উদ্বুদ্ধ হতো।

তারা বলেন, ১৯৫২-এর ভাষাসংগ্রামের চেতনাকে ধারণ করতেই হবে। ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে যে স্বাধীনতা সেই স্বাধীন বাংলাদেশে এখনও ভাষা সৈনিকদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান না করা জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জা দেয়। ভাষা সৈনিকদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান আজ সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে দেশে যে ইতিহাস রচনার চেষ্টা চলছে তা হলো সন্তান জন্মের ভ্রুন সৃষ্টির কথা নাই, নাই পিতা-মাতার কথা। শুধু সন্তান জন্মের পরের কথা দিয়ে ইতিহাস নির্মান চলছে। যা কখনো টিকে থাকতে পারে না। আর বিকৃত ইতিহাস নির্মানের কাজ করছেন এক ধরনের পাঁচাটা বুদ্ধিজীবীরা যারা দলীয় সুবিধাভোগি শ্রেনী।