‘ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন প্রাথমিক বিজয়’
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণের পর ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের মুখে দুইদিনের মাথায় তা সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করাকে আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছেন ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ মিছিল থেকে আটক হওয়া ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী।চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদন।
ছাত্রনেতা লিটন নন্দী বলেন: চাপের মুখে ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করাকে আমরা আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় হিসেবে দেখছি। তবে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ মিছিল থেকে আটক হওয়া ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেছেন, মামলা দিয়ে হয়রানি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যেকোন ন্যায়ভিত্তিক আন্দোলনে আরও দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে মাঠে থাকবেন তারা। পাশাপাশি তিনিসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে হওয়া ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান লিটন নন্দী। রোববার জামিনে মুক্তি লাভের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তিনি এসব কথা বলেন।
লিটন নন্দী বলেন: হেফাজতের দাবির মুখে ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ করায় আমাদের যেভাবে হয়রানি করা হলো, আমাদের নামে যেভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হল এতে প্রমাণ করে যে সরকার ফ্যাসিস্ট হয়ে গেছে এবং তারা যেকোন শুভশক্তির আন্দোলনকে ভয় পায়। ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার এবং হেফাজতের কাছে সরকারের নির্লজ্জ আত্মসমর্পণ বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীত দিকে পরিচালিত করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার ‘ভাস্কর্য অপসারণের প্রতিবাদ এবং পুনঃস্থাপনের দাবিতে’ আয়োজিত ‘ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ মিছিল’ থেকে চারজনকে আটক করে পুলিশ। এরা হলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি মোর্শেদ হালিম, লালবাগ শাখার নেতা রাফিন জয় এবং উদীচীর সম্পাদক আরিফ নুর।
এর পরের দিন এই চারজনসহ মোট ১৫০ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদান এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে এবং এদের গ্রেপ্তার দেখায় শাহবাগ থানা পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় ওই চারজন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন