ভুঁইফোঁড় সংগঠনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে যে ‘নির্দেশনা’
ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ’ নামে একটি সংগঠনের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এদিন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। তবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনার পর সড়ক থেকে প্রজন্ম লীগের মঞ্চ সরিয়ে নেওয়া হয়। বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জামাদিও সরিয়ে নিতে দেখা যায়।
নামের আগে-পরে ‘আওয়ামী’, ‘লীগ’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’ যুক্ত করে ২০০৯ সালের পর যেসব সংগঠন গড়ে উঠেছে, এর প্রায় সবই ভুঁইফোড় বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নামের আগে-পরে লীগ, বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, শেখ রাসেল এবং মুক্তিযুদ্ধ যুক্ত করে সারা দেশে গড়ে ওঠা ভুঁইফোড় সংগঠনের সংখ্যা শতাধিক। এর বেশিরভাগই গড়ে উঠেছে গত এক দশকে। এসবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানা গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।
শনিবার দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কিছুক্ষণ আগে খবর পেলাম প্রচার লীগ নামে এক ভুঁইফোঁড় দোকান, প্রতিষ্ঠালগ্নের কী আয়োজন করেছে আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের ব্যাপারে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু লীগ আর আওয়ামী যখন যুক্ত হয় তখন এখানে আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। এখানে আমাদের ভাবমূর্তির বিষয়টা এসে যায়, কারণ এসব দোকান অনেকে খুলে থাকে চাঁদাবাজির জন্য, এগুলো আসলে চাঁদাবাজির প্রতিষ্ঠান।
এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই করে তা না, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, এরা চাঁদাবাজিনির্ভর। এরা দলের নাম ভাঙ্গায়। কাজেই এই সব সংগঠনের কোনো প্রকার আয়োজনে, বৈঠকে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হোক যেটাই হোক, আমি আমাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের আহ্বান জানাব- আপনারা কোনো অবস্থাতেই এইসব সংগঠনের সভা কিংবা অনুষ্ঠানে আপনারা উপস্থিত থাকবেন না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন