ভোলায় ডিগ্রি কলেজের ছাত্র প্রতিবন্ধি হারুন ফেরি করে সংসার চালায়

যেখানে নিজেই চলতে কষ্ট, শারীরিকভাবে অক্ষম: সেখানে ভবিষ্যতের সোনালী স্বপ্ন বুনছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রামাগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মোঃ হারুন। বয়স ২২ বছর।
জন্মের পর অন্যত্র বিয়ে করেন মা শাহিদা বেগম। কিছুদিন পরে বাবাও বিয়ে করে অন্যত্র সংসার শুরু করেন। শিশু হারুনের ঠাঁই হয় নানা বাড়ি। সেখানেই বেড়ে ওঠে সে।
বুদ্ধিদীপ্ত শিশু হারুনকে ছয় বছর বয়সেই স্কুলে ভর্তি করে নানাবাড়ির অভিভাবকরা সব সীমাব্ধতাকে ডিঙিয়ে স্থানীয় কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ হতে এসএসসি-তে ৪.৩০ ও এইচএসসি-তে ৪.৮০ পেয়ে পাস করে। বর্তমানে জনতা বাজার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সে।
হারুন ককনো ফেরিওয়ালা, আবার কখনো ইলেক্ট্রিশিয়ান। প্রায়ই দেখা যায়, ভোলার বিভিন্ন হাটবাজারে সে বাদাম, বুট ও চাল ভাজা প্যাকেট করে বিক্রি করে। মাঝেমধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারিংযের কাজও করে স্থানীয় পর্যায়ে।
প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে সে বলে, পড়াশোনা শেষ হলে সরকারি চাকরির জন্য চেষ্টা করবো। চাকরি না পেলে ব্যবসা করবো।
বাবা-মায়ের প্রথম সংসারের একমাত্র সন্তান হারুন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। সীমিত আয়ে স্ত্রী, নানা-নানির সংসার চালানো এবং পড়ালেখা চালিয়ে যযেতে অনেক কষ্ট হয়। তবুও সে থেমে নেই জীবন যুদ্ধে।
দেশের যুবসমাজের জন্য অনুসরনীয় এক দৃষ্টান্ত প্রতিবন্ধী এ যুবক। সচেতন মহল মনেকরছেন, দেশ ও বিদেশের বাংলাভাষী মহানুভব বিত্তবান ব্যক্তিগন অদম্য প্রতিবন্ধী হারুনের দিকে একটু খেয়াল করলে তার বর্তমান ও অনাগত ভবিষ্যত হবে আরো সুন্দর এবং স্বাবলম্বি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন