মক্কা-মদিনা এখন বিশ্বমানবের শহরে পরিণত


পবিত্র হজ পালনের জন্য প্রতিদিন সারা বিশ্ব থেকে হজযাত্রীরা সৌদি আরবে আসছেন। নানা ভাষার, নানা বর্ণের, নানা সংস্কৃতির মানুষের সম্মিলনে মক্কা-মদিনা এখন বিশ্বমানবের শহর। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেদ্দা বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৬৯ হাজার ১১০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছেন। যাঁরা হজের আগে মদিনা যাবেন, তাঁরা জেদ্দায় বিমান থেকে নেমে বাসে মদিনা চলে যাচ্ছেন। যাঁরা হজের পর মদিনায় যাবেন তাঁরা যাচ্ছেন মক্কায়।
মক্কায় কথা হলো, গোপালগঞ্জ রাজপাট মিয়াবাড়ি থেকে আসা মামুনুর রাশেদ ও তাঁর স্ত্রী লায়লা আনজুমান্দের সঙ্গে। তাঁরা প্রথম আলোকে বললেন, ‘পবিত্র কাবা শরিফ দেখতে পারা পরম সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করেছেন। অনেক শুকরিয়া।’
মক্কা, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফায় হাজির হয়ে হজযাত্রীরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ বলে জিকির করেন। এর অর্থ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ যেন আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করেন লাখ লাখ হজযাত্রী।
এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ব্যক্তি পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরবে আসবেন। ১৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে; চলবে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। গতকাল সোমবার পর্যন্ত সৌদি আরবে ১১ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
প্রথম কাজ ওমরাহ করা
মক্কায় পৌঁছে প্রথম কাজ ওমরাহ করা। এর জন্য পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার চক্কর দেওয়া, সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মাঝে সাতবার দৌড়ানো এবং মাথা মুণ্ডন করে ইহরামের কাপড় ছেড়ে স্বাভাবিক কাপড় পরতে হয়।
এবারও অজু করে মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফে) পৌঁছালাম। এই নিয়ে টানা ১৬ বার এই সৌভাগ্য হলো। তাওয়াফ শুরু করতে হয় হাজরে আসওয়াদ থেকে। ভিড় কম ছিল। তাই কাবা শরিফ সাতবার প্রদক্ষিণ করতে ২০ মিনিটের মতো লাগল। তাওয়াফ শেষে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলাম। পবিত্র জমজম কূপের পানি খেয়ে সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাঈ (সাতবার আসা-যাওয়া) করলাম।
জমজম টাওয়ারের বেসমেন্টে অনেক সেলুন। পাকিস্তানি নাপিত দরদাম করে ৫ রিয়ালে মাথা মুণ্ডন করে দিল। ইহরামের কাপড় বদলে গোসল করে স্বাভাবিক পোশাক পরলাম। এভাবেই ওমরাহ শেষ হলো। হজের জন্য ৭ জিলহজ আবার ইহরামের কাপড় পরতে হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন