মঠবাড়িয়ায় তুষখালী-বড়মাছুয়া রাস্তা মেরামতের নামে ৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী থেকে বড়মাছুয়া জিসি বেতমোর ও আমড়াগাছিয়া বাজার সড়কের তুষখালী -বড়মাছুয়া অংশের ১০ কিলোমিটার মেরামতের কাজ সম্পন্ন না করে পুরো বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার।সড়কের অধিকাংশ এলাকা ভাঙাচোরা আর গর্তে ভরা থাকায় তৈরি হয়েছে জনদুর্ভোগ।

জানা গেছে, আম্পান প্রকল্পের আওতায় ২০২১ -২২ অর্থ বছরে উপকূলীয় এলাকার এ সড়কটি মেরামতের জন্য চুক্তি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কাজের অগ্রগতি হয়েছে ১০ শতাংশ। সে হিসেবে মেরামত কাজে ব্যয় করা হয়েছে ৬৪ লাখ টাকা।আর আত্মসাৎ করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা।

কাজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফতি ইটিসিএল (প্রা:) লি:।স্বত্বাধিকারী মিরাজুল ইসলাম। তিনি ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

ঠিকাদারি পেশায় মিরাজুল ইসলামের হাতেখড়ি হয় সাবেক যোগাযোগ মস্ত্রী ও পিরোজপুর – ২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেনের সাহচর্য থাকা অবস্থায়। এরপর আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের নেতা হয়ে আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।বড় ভাই মহিউদ্দিন মহারাজকে সাথে নিয়ে ঠিকাদারি সিন্ডিকেট তৈরি করে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হন তারা। মঠবাড়িয়া উপজেলার কিছু আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে এ সিন্ডিকেটকে আরও শক্তিশালী করেন মিরাজুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে পিরোজপুর এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বী জানান,শুধু এ একটি রাস্তা নয় – এভাবে অনেক রাস্তার কাজ ঝুলে আছে। তদন্ত চলমান আছে। আর তুষখালী – বড়মাছুয়া রাস্তাটি মেরামত সংক্রান্ত উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের অফিসে কোন কাগজপত্র নেই।তবে অনলাইনে দেখা যায়, ১০ শতাংশ কাজ করে ঠিকাদার সব বিল নিয়ে গেছে।