মদনে ঘন্টাবতি নদীর বুকে সবুজ ফসলের আবাদ
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলার খরশ্রোতা ঘন্টাবতি নদী এখন কৃষি আবাদি জমি হিসেবে ব্যবহূত হচ্চে। নাব্য সংকটে এ নদী ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও বড় বড় ডোবায় পরিণত হয়েছে এ ঘন্টাবতি নদী। কাইটাইল ইউনিয়নের বাররী অংশে ঘন্টাবতি নদী থেকে বের হয়ে আশপাশের উপজেলা কেন্দুয়ায় সাইডুলি নদীর সঙ্গে মিশেছে এ নদী।
জানা গেছে, এক সময় ঘন্টাবতির বুক বেয়ে মদন-কেন্দুয়া তাড়াইল থেকে লঞ্চ-স্টিমার ও পালতোলা নৌকা যাতায়াত করত। ধান-পাট বোঝাই বড় বড় মালবাহী নৌকা আসত। ঘন্টাবতি নদীকে কেন্দ্র করে তাড়াইল, কেন্দুয়া, খালিয়াজুরী, ইটনা, মিটামইন, কিশোরগঞ্জ, ভৈরবসহ মদন উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যবসা গড়ে উঠেছিল।
উপজেলার বাররি গ্রামের গোপাল, আরমান জাহান চৌধুরী জানান, এই নদী দিয়ে এক সময় অনেক বড় বড় নৌকা চলত। মদন, কেন্দুয়া থেকে অনেক মালামাল নিয়ে আসা যেত। এখন আর সেই নদী নেই, নদীতে ধানের চারা, ধান ক্ষেত করার জমি হয়েছে। কালের বিবর্তনে খরস্রোতা নদী মরে ফসলের ক্ষেত হয়েছে। ঘন্টাবতি নদী এখন ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। দুই তীরে যাদের জমি অনেকটা তাদের হাতেই জিম্মি। নতুন করে আবার কেউ কেউ নদী দখলে নিচ্ছে। নদীর পাড়ে যাদের জমি নেই তারাও ধান লাগানোর ছলনায় নদী দখল করছে। কেউ কেউ সুবিধা অনুযায়ী মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই নদীটি খনন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত বলেন, জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নদী খননের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন