মধ্যপ্রাচ্যে সিনেমায় পশ্চিমা বিনিয়োগ বাড়ছে

আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সিনেমা হলের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে ৩৮.৪ শতাংশ, যা সংখ্যা দাঁড়াবে ১৮০০টি। একই সময়ে বিনিয়োগ দাঁড়াচ্ছে ৩.৫৪ বিলিয়ন ডলার।

এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সিনেমার বাজার ব্যাপক সম্প্রসারণ হচ্ছে। এ গবেষণা তথ্য প্রকাশ করেছে প্রাইস ওয়াটারহাউজকুপারস। শনিবার আরব বিজনেসের এক প্রতিবেদন এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সৌদি আরবে গত ৩৫ বছর চলচ্চিত্র নিষিদ্ধ থাকার পর এ খাতটি খুলে দিলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে পশ্চিমা চলচ্চিত্র শিল্প।

প্রাইস ওয়াটারহাউজকুপারসের গ্লোবাল কর্মকর্তা ড. মার্টিন বার্লিন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখন সিনেমা স্ক্রিনের সংখ্যা রয়েছে ১৩শ’ এবং এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

খুব শিগগিরই আরও ৫০০ সিনেমা স্ক্রিন বৃদ্ধি পাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে, যার অধিকাংশই বৃদ্ধি পাবে সৌদি আরবে। চলচ্চিত্র খাতের এ সম্প্রসারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারাবিশ্বে সিনেমা স্ক্রিনের সংখ্যা রয়েছে দেড় লক্ষাধিক যার ৫০ হাজারই রয়েছে চীনে।

যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা ৪৫ হাজার। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র বাজার। আগামী ২০২০ সালে চীনে সিনেমা স্ক্রিনের সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।

প্রাইস ওয়াটারহাউজকুপারস মধ্যপ্রাচ্যের চলচ্চিত্র খাত নিয়ে যে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তা রোববার এক সিনেমা ফোরামে প্রকাশ হতে যাচ্ছে।

নোভো সিনেমাসের সিইও ডেব্বি স্ট্যানফোর্ড-ক্রিস্টিয়াসেন বলেন, আমিরাত ও বাহরাইনে তাদের ১১৮টি সিনেমা স্ক্রিন রয়েছে এবং আগামী ৩ বছরে তারা আরও সিনেমা স্ক্রিন বৃদ্ধি করছে।

আর মধ্যপ্রাচ্যে সিনেমা দর্শক বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত।