মনোনয়নপত্র বাছাই ও প্রত্যাহারের তারিখ জানা যাবে কাল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। ৩০ ডিসেম্বর ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। ভোটের তারিখ ঘোষণা করলেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের তারিখ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন।
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম প্রদর্শনীতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা আগের তফসিল বাতিল করে ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা দেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ নভেম্বর করা হয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহারের তারিখ ঠিক করেনি কমিশন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সকালে অন্য কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পরিবর্তিত তারিখ আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) জানিয়ে দেয়া হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, যুক্তফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের নতুন তারিখ নির্ধারণ করল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন পেছানোর ঘোষণায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বলেন, আমরা তফসিল পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। আজ সকালে কমিশনের বৈঠকে তফসিল পুনর্নির্ধারণের এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করেছিলেন সিইসি। আগের তফসিল অনুযায়ী, ২৩ ডিসেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল।
আগের তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৯ নভেম্বর, বাছাই ২২ নভেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ধার্য ছিল ২৯ নভেম্বর।
জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়া হয়নি দাবি করে আগের তফসিল বাতিল করার দাবি করে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল।
ভোটের তারিখ পিছিয়ে দিতে রোববার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি পাঠায় সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় যুক্তফ্রন্ট। তাদের দাবি ছিল- নির্বাচন ২৩ ডিসেম্বর না করে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়া হোক।
আর নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দিতে শনিবার বিকালে সিইসিকে চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
রোববার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পেছালে তাদের আপত্তি নেই।
চিঠি পাওয়ার পর গতকাল বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্তমান সংসদের মেয়াদ রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি দশম সংসদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসাবে সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন