মযমনসিংহে কলেজ শিক্ষকের জমি দখলের পাঁয়তারা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

ময়মনসিংহের গৌরীপুর সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মো. হাবিব উল্লাহর জমি দখলের পাঁয়তারা ও তাঁর নামে আদালতে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কলেজটির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে গৌরীপুর পৌর শহরের কালিখলা এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা গৌরীপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে এ বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মরকলিপি দিয়েছেন।

মানববন্ধন ও স্মারকলিপিতে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শামীম হোসেন (২৮) নামের একজন ব্যক্তি গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে উপাধ্যক্ষ হাবিব উল্লাহ ও তাঁর স্ত্রীর নামে ক্রয়কৃত জমি ও অস্থাবর সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের পাঁয়তারা করছেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি শামীম হোসেন হাবিব উল্লাহ’র জমিতে প্রতিষ্ঠিত গরুর খাদ্য উৎপাদন প্রকল্পে সহযোগীদের নিয়ে হামলা করে লুটপাট চালায়। লুটকৃত মালামাল হাবিব উল্লাহ ফেরত চাইলে শামীম মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। পরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গৌরীপুর থানায় পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি একটি সালিশ হয়।

ওই সালিশে শামীম হোসেন মালামাল ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন এবং আর কখনো গরুর খাদ্য উৎপাদন প্রকল্পে যাবেন না বলেও অঙ্গীকার করেন। এ অঙ্গীকারনামা গৌরীপুর থানায় সংরক্ষিত আছে।

অঙ্গীকারের পর শামীম অল্প কিছু মালামাল ফেরত দিলেও বেশির ভাগ মালামাল এখনো ফেরত দেননি। মালামাল ফেরত চাইলে শামীম হাবিব উল্লাহ ও হাবিব উল্লাহ ছেলে ডাক্তার আমান উল্লাহর নামে আদালতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছেন।

বক্তরা বলেন, শামীম হোসেনের বাড়ি বগুড়ায় জেলায়। রহস্যজনক কারনে তিনি নিজের পরিচয় গোপন করে গৌরীপুরে বসবাস করেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে শামীমের গৌরীপুর পৌর শহরের যে ঠিকানা রয়েছে সেটিও ভূয়া। এ মর্মে গৌরীপুর পৌরসভা সম্প্রতি একটি প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে শামীম গৌরীপুরে একটি কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন।

তিনি অবৈধ অস্ত্র নিয়ে চলাচল করেন। অতীতের কোন অপরাধকে লুকানোর জন্য বগুড়া ছেড়ে গৌরীপুর আশ্রয় নিয়েছেন।

মানববন্ধন শেষে গৌরীপুর সরকারি কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী গৌরীপুরের ইউএনওর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সসরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। ইউএনও সাজ্জাদুল হাসান স্মারকলিপি গ্রহন করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

শামীম হোসেন এ বিষয়ে আমি জমি দখল করার পাঁয়তারা করিনি আমি জমি ভাড়া নিছি। নিজের ওপর আনা অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।