ময়মনসিংহে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে’এসেছে আলো, কেটেছে আধার’ ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার এমপি
বাংলাদেশ নামের এ ভূখণ্ডটি-বাঙালি জাতি সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। ২৩ বছরের স্বাধিকারের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
আর বঙ্গবন্ধু পরিণত হন বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বরে। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম ও নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সপরিবারে হত্যা করা হয় স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। বাংলাদেশকে গ্রাস করে একাত্তরের পরাজিত শক্তি।
শেখ হাসিনা তখন তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা এবং দুই সন্তানসহ স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থল পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন বলে রেহাই পান।বিশ্বাসঘাতকতা ও বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় আসীন হওয়া খুনি মোশতাক ও জিয়ার শাসনামলকে বাঙালির ইতিহাসের লজ্জাকর ও কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা যায়।
জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, সামরিক শাসন নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি, যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থানে পৃষ্ঠপোষকতা, তথাকথিত ক্যু’র অভিযোগে শত শত সৈনিক হত্যা, মানবতাবিরোধী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করাসহ কলঙ্কিত সব ইতিহাসের সূচনা হয় এই সময়কালে।
প্রতিহিংসার রাজনীতি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল পদে পদে। অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতি বোধহয় গণতন্ত্র ও অধিকার শব্দটিও ভুলতে বসেছিল!দেশের সেই চরম ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার ও স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
জননেত্রীর আগমন প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। এজন্য ‘শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ কমিটি’ও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু দেশপ্রেম ও জনগণের জন্য সংগ্রামের চেতনা যার রক্তে বহমান, তাকে প্রতিরোধের সকল অপচেষ্টা সেদিন জনগণের শক্তি ও ভালোবাসার বিপরীতে বিলীন হয়ে গিয়েছিল।
অমনিশার অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতির উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা।তারপর তিনি রচনা করে গেছেন ইতিহাস। স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়ে ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জয়ী হয়ে ২০০৯ সাল থেকে জননেত্রী শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা।
তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ইতিহাসের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আবার বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে। তিনি দেশ ও জাতিকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। আজ শেখ হাসিনার বিকল্প শুধুই শেখ হাসিনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁর দীর্ঘ জীবন, সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করি। জননেত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা এগিয়েছি, আমরা এগিয়ে যাবোই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।ব্যারিস্টার ফারজানা ছাত্তার এমপি সম্মানিত সদস্য, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন