মাত্র ১১ বছর বয়সেই ১০০ জনের মাস্টার!
শৈশব মানেই খেলনার সঙ্গে বন্ধুত্ব অথবা নিজের লেখাপড়ার চাপে কুপোকাত৷ তবে ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনৌর বসিন্দা ছোট্ট আনন্দ কুমার মিশ্রার স্বপ্নটা একটু আলাদাই।
মাত্র ১১ বছর বয়েসেই সে প্রায় ১০০ জন ছাত্রের শিক্ষক হয়ে উঠেছিলেন ২০১২ সালে, তবে বর্তমানে তার ছাত্রের সংখ্যা ৭০০। নিজের পঠন পাঠনের পাশাপাশি সে তারই বয়সী অথবা তার থেকে কম বয়সী পড়ুয়াদের এখন ছোটা মাস্টার জি নামে পরিচিত। সাধারণত গরীব দুস্থপরিবারের শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদান করাই কাজ ছোট্ট আনন্দের।
মাত্র ১১ বছরের শিশুর কাছ থেকে? এটা হয়তো একটু ভাবারই বিষয়। তবে ছোট্ট আনন্দের স্বপ্ন ‘শিক্ষাকে হাতিয়ার করে সভ্য সমাজ গড়ে তোলা’ আর এই স্বপ্নের হাত ধরেই প্রায় প্রথম ধাপে বেশ সমৃদ্ধি লাভ।
লখনৌর বাসিন্দা অনুপ মিশ্রা ও রীনা মিশ্রার একমাত্র সন্তান আনন্দ কুমার মিশ্রা। পেশায় আনন্দের বাবা মা দু জনই পুলিশের চাকরিতে কর্মরত। তবে তাদের সন্তানের চিন্তা ভাবনা অনেকটাই ভিন্ন, এমনই মত তার অভিভাবকের।
তার বাবা জানান, ছোট্ট আনন্দ হঠাৎই মনোস্থির করে পড়ুয়াদের পড়ানোর বিষয়। আর তারপরই ২০১২ সালে লখনৌর আশেপাশের গ্রামের পড়ুয়াদের শিক্ষাদানের বিষয়ে এগিয়ে আসে ছোট্ট আনন্দ। বর্তমানে তার পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে প্রায় ৭০০জনের কাছাকাছি। শুধু তাই নয় তার এই সুন্দর চিন্তাভাবনা কে স্বাগত জানিয়ে গোটা লখনউ এবং ইতোমধ্যেই দুটি পুরুস্কারের অধিকারী আনন্দ।
সেবা রত্ন ও সত্যপথ বাল রত্ন পুরুস্কারের দ্বারা সম্মানিত সকলের আদরের এই ছোটা মাস্টার জি। তবে এখানেই শেষ নয়, আনন্দ তার কাজের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার আলোকে ঘরে ঘরে পৌছাতে চান বলে জানিছে। তার এই সুন্দর স্বপ্নের পথে সামিল রইলাম আমরাও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন