মাত্র ১২ বছর বয়সেই বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে এই কিশোরী
বয়স মাত্র বারো। কিন্তু, এরমধ্যেই বেশ কয়েকটি সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় খেতাব জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। আর সেই সুবাদেই এবার লিটল মিস ইউনিভার্স ও লিটল মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে ওড়িশার পদ্মালয়া নন্দা। ওড়িশা তো বটেই, উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের প্রথম প্রতিযোগী হিসেবে এই কৃতিত্ব অধিকারী হয়েছে সে।
ওড়িশার কটকে বাড়ি পদ্মালয়ার। স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টমশ্রেণিতে পড়ে সে। বাবা সুপ্রিম কোর্টের বিখ্যাত আইনজীবী প্রসন্নকুমার নন্দা। মা চিকিৎসক। এইরকম পরিবেশে বেড়ে ওঠা যেকোনও শিশুই যে পড়াশোনাতে ভালো হবে, সে তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ছোট থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি মডেলিং ও ফ্যাশন ডিজাইনিং-এ সমান আগ্রহী পদ্মালয়া। বিভিন্ন সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়াই শুধু নয়, অডিশনেও সকলের নজর কাড়ত সে।
এর আগে কেরলের কোজিকোড়ে জুনিয়র মডেল ইন্টারন্যাশনাল কনস্টেটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছে পদ্মালয়া। খেতাবও জিতেছে। এছাড়াও বেস্ট বল গাউন, বেস্ট প্রি-টিন JMI (জুরি চয়েস) ও বেস্ট প্রি-টিন JMI (পিপপলস চয়েস) প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা পেয়েছে সে। আর এই সাফল্যের হাত ধরেই এবার একেবারে লিটল মিস ইউনিভার্স ও লিটল মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিয়োগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেল পদ্মালয়া। যেখানে অংশ নেবে বিশ্বের আরও ১৬’টি দেশের প্রতিযোগিরা। পদ্মালয়া বলেছে, লিটল মিস ইউনিভার্স ও লিটল মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় দেশের মুখ উজ্জ্বল করাই এখন আমার লক্ষ্য। দুটি প্রতিযোগিতায় নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।
একজন আইনজীবী, অন্যজন চিকিৎসক। অথচ মেয়ে মডেলিং করছে। কিন্তু, মেযেকে কোনওদিন বাধা দেননি, বরং উৎসাহ-ই দিয়েছে পদ্মালয়ার বাবা প্রসন্নকুমার নন্দ ও মা সুভাসুন্ধা প্রিয়দর্শিনী। তাই মেয়ের এই সাফল্যের খুশি তাঁরাও। যদিও পদ্মালয়া জানিয়েছে, মডেলিং ও ফ্যাশন ডিজাইনিং-কে উৎসাহ থাকলেও, মনে দিয়ে পড়াশোনাও করতে চায় সে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন