মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষক নিয়োগের বসয়সীমা ৩৫
বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় বয়সসীমার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, কারিগরি ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালায় বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক নিয়োগ মতোই বিধি থাকছে। খসড়া চূড়ান্ত করা হলেও মঙ্গলবার সভায় শিক্ষকদের নিয়োগের বয়সসীমার বিষয়টি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বেসরকারি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি এমপিও নীতিমালার সঙ্গে মাদরাসা ও কারিগরি নীতিমালায় সার্বিক মিল থাকলেও এতে শিক্ষকদের নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সচিব, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী অনুমোদন দিলে নীতিমালাটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। এরপর কারিগরি ও মাদরাসায় নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) -এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। ওই নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ বছর। পাশাপাশি বদলির ব্যবস্থাও রাখা হয়। কিন্তু ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কারিগরি ও মাদরাসা)-এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ বয়সসীমা নির্ধারণ না করায় বিতর্ক দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ পেতে বয়স ৩৫ বছর থাকবে আর কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়োগে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, সমমানের পদে নিয়োগে এ বৈষম্য অনৈতিক। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠলে তা পরিবর্তন করে নতুন করে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে রওনক মাহমুদ বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষককে বদলি করতে পারবেন, এ জন্য বদলি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় নীতিমালাটি অনুমোদন দিয়েছে। মাদরাসা ও কারিগরির ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। সেগুলো ঠিক করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন